Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৯ প্রতারক গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১:১৮ এএম

বিদেশ লোক পাঠানের জন্য ঢাকায় ট্রাভেল এজেন্সির একটি অফিস খুলে বসেছে চক্রটি। গ্রামে-গ্রামে দালাল নিয়োগ করে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে সাধারণ মানুষদের টার্গেট করে আনা হতো ঢাকায়। বিভিন্ন অবৈধ প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া মেডিক্যাল পরীক্ষাও করানো হতো তাদের। পরে দালালদের মাধ্যমে পাসপোর্ট বানিয়ে ভুয়া ভিসাও লাগানো হতো সে সব পাসপোর্টে। সবশেষ ইমিগ্রেশনের কার্ড হাতে দেখিয়ে কুয়েত পাঠানোর কথা বলে হাতিয়ে নিতো বড় অঙ্কের টাকা। আর এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি নিঃস্ব করে আসছিল নিরীহ সাধারণ মানুষদের। পুলিশের বিশেষ শাখা অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এমন একটি প্রতারক চক্রকে গ্রেফতার করলে বেড়িয়ে এসব তথ্য। এখন চক্রের মূলহোতাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গতকাল বেলা আড়াইটায় রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান সিআইডির ঢাকা মেট্টো দক্ষিণের বিশেষ পুলিশ সুপার ইনামুল কবির।
তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- শরীফুল ইসলাম সজীব, গোলাম মোস্তফা, মোখলেছুর রহমান, আসাদুল হক, আলতাফ হোসেন ওরফে রাজীব, আসাদুজ্জামান বাবু ওরফে আজীজ, আব্দুল কাদের সরকার ওরফে নুরন্নবী ওরফে রতন, আবুল কালাম আজাদ ওরফে হাসান ওরফে বুলেট ও জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় তাদের অফিস থেকে ২৫টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৯টি ভুয়া। বাকিগুলোর মধ্যে ১০টিতে ভুয়া ভিসা লাগানো। এ ছাড়া ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ও ১০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। বিদেশ গমনের জন্য জনশক্তি অফিসের অনুমতি কার্ডের জাল কপিও জব্দ করা হয়েছে।
ইনামুল কবির জানান, ৭ জন ভিকটিমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চক্রটিকে গ্রেফতার করা হয়। আসামিরা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে স্বল্প সময়ের জন্য অফিস ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এমন প্রতারণা করে নিরীহ মানুষের অর্থ হাতিয়ে আসছে। প্রতারণার উদ্দেশ্যে ‘সেবা’ নামে একটি ভুয়া ট্রাভেল এজেন্সির অফিস খুলে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে বিদেশগামীদের আকৃষ্ট করা হতো। তারা সাত যুবককে কুয়েত পাঠানোর নাম করে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রত্যেক বিদেশগামী ব্যক্তির সাথে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকার চুক্তি করেছে। চুক্তির অংশ হিসেবে ২০ লাখ টাকা আগে হাতিয়ে নিয়েছে। বাকি টাকা বিদেশে পাঠানোর দিন নেওয়ার কথা। তবে চক্রটি এখন পর্যন্ত কাউকে বিদেশ পাঠায়নি। সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, ভিসাগুলো যাচাইকালে সেগুলো ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে। এ চক্রের একজন গডফাদার তথা মূলহোতা রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় একটি মামালা দায়ের করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ