পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশিষ্ট আইনজীবি গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, জাতীয় ঐক্য গড়ার লক্ষে যে আয়োজন করা হয়েছে এতে আমি আনন্দিত। এই আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার থেকে জাতি মুক্তি লাভ করবে। নির্ভেজাল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় এই জাতীয় ঐক্য। ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক ঐক্যের আয়োজনে ইভিএম বর্জন, জাতীয় নির্বাচন ও রাজনৈতিক জোট শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. কামাল বলেন, আমাদের সৌভাগ্য যে বাংলাদেশের জনগণ নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন। আমরা এই আয়োজন থেকে বৃহত্তর স্বার্থে জাতীয় ঐক্য গড়ে একটি স্বাধীন, প্রভাবমুক্ত এবং কার্যকরী নির্বাচনের লক্ষে কাজ করে যাবো। আমরা যুক্তফ্রন্ট যে সাতটি লক্ষ দিয়েছি তার একটি হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া। আজকের উপস্থিতি প্রমাণ করে আমরা সকলকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গঠন করে এগিয়ে যাবো। বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন হলে তাদের মৌলিক ক্ষমতার প্রমাণ হবে। এজন্য অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন হতে হবে। এইভাবে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা বাংলা ভাষা এবং স্বাধীনতাসহ সকল মৌলিক অধিকার পেয়েছি।
বিকল্পধারার প্রধান সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, নির্বাচন নিরপেক্ষ না হলে গণতন্ত্র হবে না। গণতন্ত্রের মূল শর্ত নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। তার জন্য নির্বাচনের সময়ে এমন সরকার হবে যে সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে। আমরা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। ইতিহাস বলেছে, আইয়ুব খান চলে গেছে, ইতিহাস বলেছে, চলে গেছে এরশাদ সাহেব। ইতিহাস ভাবছে ১০ বছর আওয়ামী লীগেরও গেলো। এই স্বৈরতন্ত্র, এই স্বৈচ্ছাচার , এবার সেই মুক্তির দিন আসছে কিনা? স্বেচ্ছাচারমুক্ত বাংলাদেশ, স্বৈরাচার মুক্তি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।
নাগরিক ঐক্যের আহবায়ন মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকার জুলুমবাজ-চোর। সারাদেশ লুটেপুটে খেয়েছে। শুরু করেছিলো শেয়ারবাজার দিয়ে, তারপরে ব্যাংক খেয়েছে, মানুষের ব্যবসাপতি বন-জঙ্গল, জায়গা-জমি,কয়লা-পানি পাথর, সোনা সব কিছু খেয়েছে। কোন কিছু বাকী নেই।
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনার জবাবে মান্না বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী আফসোস করেন আওয়ামী লীগের পক্ষে কিছু লিখতে বললে মাহমুদুর রহমান মান্নার সে কী কান্না ? আমি কাঁদি, প্রধানমন্ত্রীকে দেখে কাঁদি, বেশি কাঁদি আওয়ামী লীগকে দেখে। এই আওয়ামী লীগকে আমি যা দেখেছি ওই আওয়ামী লীগ নাই। আমি লিখতে পারি, তারা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছিলো, ৬ দফা দিয়েছিলো, বঙ্গবন্ধু লড়াই করেছিলেন, জেল খেটেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো। সেই যুদ্ধে নেতৃত্বে দিয়েছিলো আওয়ামী লীগ । এখন যদি লেখি তাহলে এই দল ২০১৪ সালে সারাদেশের লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষের ভোট খেয়ে ফেলেছে। ওরা ভোট চুরি করেছে, টাকা চুরি তো করেছে। এই সরকারকে এখন দেশের মানুষ আর চায় না।
মান্না বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আমাদের ঐক্য হয়েছে। এই দাবিতে আমরা রাজপথে নামবো অপেক্ষা করুন। সবাই মিলে রাস্তায় নামতে হবে। একবার যদি রাজপথে নামতে পারেন একত্রে তাহলে অত বড় শক্তিধর প্রাণীও ধীরে ধীরে তার ফানা নামাবে। সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের সামনে বিজয় ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। হারবার কোনো উপায় নেই। আমরা পরাজয় স্বীকার করতে পারি না স্বৈরাচারের কাছে, আমরা অত্যাচারে কাছে মাথা নত করতে পারি না।
মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায়, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডি‘র সভাপতি আসম আবদুর রব , কল্যাণ পার্টির সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।