বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভারতের স্বার্থে ও মাদরাসা শিক্ষা ধ্বংসের নীল নকশার অংশ হিসেবেই কোরবানির চামড়ার মূল্য কমানো হয়েছে। তাহরীকে খতমে নবুওয়াতের চেয়ারম্যান আল্লামা ড.এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী গতকাল এক বিবৃতিতে একথা বলেন। তিনি বলেন- পাচারের সুযোগ করে দিতেই চামড়ার সরকারি মূল্য কমানো হয়েছিল। এ কারণেই বানিজ্যমন্ত্রীর মন্তব্য ছিলো ‘এবারের কোরবানির চামড়ার মূল্য নির্ধারণ সঠিক ছিল।’
তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মপন্থা এমনই ছিলো যেন চামড়া ভারতে পাচার হয়। আর ভারতের চামড়াশিল্প দাঁড়িয়ে যায়। পাটশিল্পকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ারমতই চামড়াশিল্প নিয়ে একই চক্রান্ত হচ্ছে। চামড়াশিল্প হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে পোশাক শিল্পের পর বড় শিল্প। অথচ চামড়াশিল্পকে ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প (বিসিক) অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। ভারতে চামাড়ার মূল্য আকাশ ছোঁয়া হলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি বছরই চামড়ার দাম কমাচ্ছে। ২০১৩ সালে চামড়ার প্রতি বর্গফুট ছিল ৮০-৯০ টাকা, এবছর ৪০-৫০ টাকা।
ড. আব্বাসী বলেন- মাদরাসা শিক্ষাকে অর্থের অভাবে বসিয়ে দেয়া ও চামড়াশিল্পকে ভারতের হাতে তুলে দিতেই সরকার টেনারিগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেনি। ফলে টেনারি মালিকরা চামড়া ক্রয়ে অনাগ্রহী হওয়ায় ভারতে পাচার সহজ হয়েছে। সরকারি ঘোষণায় চামড়ার দাম কমিয়ে দেয়ায় বাংলাদেশের ৪০০/৫০০ টাকার চামড়া কলকাতায় বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৪৫০০ টাকা বলে জানা গেছে। আর এতে দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন দেশের ব্যাবসায়ীগণ এবং চামড়া বিক্রির ওপর নির্ভরশীল মাদরাসা শিক্ষা। তাই জাতীয় স্বার্থে চামড়ার সরকারি মূল্য ২০১৩ সালের অনুরূপ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।