দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
উত্তর: মানুষের প্রয়োজনে গ্রাম শহর হচ্ছে। প্রয়োজনের তাগাদায় মানুষ শহরে আসছে। গ্রামের মানুষের দৈনন্দিন অফিসিয়াল কাজে শহরে আসতে হচ্ছে। গ্রামের মানুষের প্রয়োজনে বড় বড় কর্মকাজ সম্পন্ন করতে শহরে আসতে হয়। এখানে সরকারী অফিস আদালত হাসপাতাল রয়েছে। লাখ লাখ কর্মজীবী মানুষ রয়েছে। যারা নিয়মিত ভাবে শহরে এসে তাদের কর্মকাজে যোগদান করেন। তাদের ঠিক সময়ে শহরে প্রবেশ করা লাগে। আবার দৈনিক কর্ম শেষ করে নির্দিষ্ট বাসা বাড়ীতে ফিরতে হয়। পোশাক খারখানার লাখ লাখ শ্রমজীবী মানুষ দৈনিক পরিবহন ব্যবহার করে কর্মস্থলে যাওয়া আসা করতে হয়। মালিক শ্রমিক সকলেই নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে আসা যাওয়া করতে হয়। সময় মতো কর্মস্থলে না পৌঁছাতে পারলে উৎপাদন কার্যক্রমের ব্যাঘাত হয়। কর্মজীবীদের জবাবদীহি অফিস টাইম রক্ষা করতে না পারলে চাকরী চলে যায়। জটিল ও মুমর্ষরোগীদের শহরের বড় চিকিৎসাকেন্দ্রে আনতে হয় চিকিৎসার জন্য। কথা হচ্ছে শহরে প্রবেশ কারো জন্যই নিরাপদ যাতায়ত হচ্ছে না। শহরের সবগুলো প্রবেশ মূখে কী সকাল কী বিকেল অফিস ও কর্ম টাইমে নিত্যদিন যানজটের নাকালে পড়তে হয় কর্মজীবী মানুষদের। ঘন্টার পর ঘন্টা কর্ম সময় গাড়ীতে রাস্তায় চলে যায়। শহর প্রশাসনের মালিক সিট্ কর্পোরেশন। শহর শৃংখলার মালিক ট্রাপিক পুলিশ, আইন শৃংখলা বাহীনি। এসব জন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো ধরনের মতামত ও ভালোভাবে আইনের প্রয়োগ দেখা মিলছেনা। শহর জুড়েই ট্রাপিক পুলিশ আইন শৃংখলা বাহিনী রয়েছে। নির্দিষ্ট ষ্টপিজে তাদের দায়িত্ব। তাদের দায়িত্ব বলা আছে। কাজ কর্ম ডিউটি ঠিক করা আছে। কোথায় গাড়ী থামবে কোন স্পটে গাড়ী রাখবে। সব কিছু একটা নিয়ম থাকার পরও পরিবহন ও যান চলাচল ট্রাপিক শৃংখলা জনজীবনে পাওয়া যাচ্ছেনা। পরিবহন মালিক শ্রমিক নিত্যদিন রাস্তায় নানা জাতের গাড়ি নামাচ্ছে। গাড়ির সঠিক কাগজ পত্র অনেক গাড়ীর নেই। টুকেন দিয়ে মালিক শ্রমিকদের সাথে যৌথ বানিজ্যে রাস্তায় এ গাড়ী চলছে বলে জানা যায়। কোন রোটে কত পরিমান গাড়ী চলবে তার কোনো হিসাব মিলছেনা। রাস্তার চেয়ে গন পরিবহণ বেশী। সাথে এক একজন মানুষের জন্য একটা করে প্রাইভেট গাড়ী। ছাত্র ছাত্রীদের গার্ডিয়ানরা নিয়ে আসে স্কুল টাইমে একটা একটা প্রাইভেট গাড়ী করে। রাস্তায় কোনো পার্কিং এর অনুমতি না থাকলেও রাস্তায় এ পরিবহন গুলোর পার্কিং করে রাখা হয়। রাস্তার দু পাশেই বিশাল এলাকা জুড়ে এসব গাড়ীর পার্কিং। বাস, ট্রাক, টেম্পু, টেক্সী, রিক্সার পার্কিং সারা শহর জুড়েই চোঁখে পড়ে। ফুতপাত অনেকটাই বেদখল। জন চলাচলের জন্য ফুতপাত পাওয়া যায়না। জনগন ফুতপাত ব্যবহার করার কোনো সুযোগ পচ্ছেনা। সারা শহরের ফুতপাত হকারদের দখলে। এসব হকারদের বসিয়েছে এক শ্রেনীর চাঁদাবাজ চক্র। তাদের সাথে আইন শৃংখলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ। প্রতিদিন একজন হকার থেকে নেয়া হয় ২০-১০০ টাকা পর্যন্ত। ফুকপাত যেই দখল করে বসবে তাকে নির্দিষ্ট হারে চাঁদা দিয়ে বসতে হবে। চাঁদা ছাড়া কোনো হকার ফুতপাত রাস্তায় বসতে পারেনা। এ ফুতপাত কারা নিয়ন্ত্রণ করে। কাদের হাতে রাস্তার দোকান আর ফুতপাতের ক্ষমত্।া এ বিষয় সমাজ প্রশাসন অবগত আছেন্ কিন্তু এর সুরাহা কী জনভোগান্তির সমাধান কী হবে সেটা কেউ গুরুত্ব দিচ্ছেনা। ঘন্টার পর ঘন্টা কর্ম সময় শহরগামী মানুষের নষ্ট হচ্ছে সেটার কোনো গুরুত্ব আর সমাধান মিলছেনা শহরগামী মানুষের। নগর জীবন শৃংখলার জন্য সিটি কর্পোরেশন প্রশাসন রয়েছে। রযেছে চট্রগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। মেট্রোপলিটন পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ। এত সব বিভাগ থাকার পরও জন জীবনে শহরমূখী মানুষের ভোগান্তির সীমা থাকছেনা। তাহলে শহর রক্ষার দায়িত্ব কার।
উত্তর দিচ্ছেন : মাহমুদুল হক আনসারী
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।