পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণ ফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, স্বৈরাচার সরকারের পরিণতি আমরা দেখেছি। যারা দুই নম্বরি, তিন নম্বরি করেছে, ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে তাদের অবস্থান হয়েছে। ইতিহাস প্রমাণ করে, বাংলাদেশের জনগণ কখনও পরাজিত হয়নি। বড় বড় স্বৈরাচার আমরা দেখেছি, কেউ তাদের চিরস্থায়ী হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এ সরকারও তা পারবে না। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণতন্ত্র ন্যায় বিচার, প্রেক্ষিত ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, মজার বিষয় হচ্ছে সব স্বৈরাচারী শাসকই নিজেদেরকে গণতান্ত্রিক বলে দাবি করেন। কারণ স্বৈরাচারী বললে তো কারো সমর্থন পাওয়া যাবে না। তিনি বলেন, প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ। রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের সেই মালিকানা বজায় রাখতে হলে ভোটের আয়োজন করতে হবে। এসব করে কোনো স্বৈরাচার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি। আমি কনফিডেন্টলি বলতে পারি, এই স্বৈরাচার সরকারও পারবে না। তাই আমাদের সব থেকে বড় দায়িত্ব হল ভোটটা করানো। তিনি বলেন, ‘মানুষ যদি সঠিকভাবে ভোট দেয়ার সুযোগ পায়, যদি তারা নিজেদের ভোট নিজেরা দিতে পারে; তাহলে আমি মনে করি বাংলার মানুষ ভুল করবে না। তরুণ সমাজকে ভোট পাহারা দেয়ার জন্য বোঝাতে হবে, যাতে জাল ভোট কেউ দিতে না পারে।
আ স ম রব বলেন, যুক্তফ্রন্ট-গণফ্রন্ট মিলে যে ঐক্য হয়েছে আমরা এটাকে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যে নিয়ে যাব। স্বৈরাচার সরকার ও স্বাধীনতাবিরোধীরা ছাড়া বাংলাদেশের সবাইকে আহ্বান জানাবো আমাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য। মাহমুদুর রহমান মান্নার বাসায় সিভিল ড্রেসে ডিবির (গোয়েন্দা পুলিশ) লোক যাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারবিরোধী ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে যারা আছেন, আগামীতে যদি তাদের কারও বাসায় হামলা করা হয়, পরিণতি ভালো হবে না, ভয়াবহ হবে। আমরা জবাব দেব।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ইভিএম এর জন্য আগেই এলসি খুলে বসে আছেন। একনেকের অনুমোদন নাই, কোনো মন্ত্রিসভার বৈঠক নাই; কী করে এলসি খুললেন? কীভাবে অনুমোদন দিলেন? এটা ফোরটুয়েন্টির ব্যাপার। এরা সব লুটেরা, লাখ-লাখ, কোটি-কোটি টাকা লুট করেছে। এটা একটা লুটের প্রকল্প। একই সঙ্গে টাকাও লুট করবে, ভোটও লুট করবে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।