Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাশিয়ানীতে দেশীয় মাছের আকাল

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) থেকে হাফিজুর রহমান হাফিজ | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

কাশিয়ানী উপজেলার বিভিন্ন খাল-বিল, নদী-নালায় থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। এ দেশের মানুষের পরিচয় ‘মাছে ভাতে বাঙালি’। কিন্তু এই প্রবাদ এখন শুধু স্মৃতি হয়ে আছে।
এ অঞ্চলের নদী-নালা, খাল-বিল পুকুর-জলাশয়গুলো নানা কারণে দেশীয় মাছ শূন্য হয়ে পড়েছে। যেমন জলবায়ু পরিবর্তন, কারেন্ট জালের অবাধ ব্যবহার, মাছের বিচরণক্ষেত্র কমে যাওয়া, শুষ্ক মৌসুমে শ্যালো মেশিনের সাহায্যে পানি সেচে মাছ ধরার অবাধ প্রবণতা, কৃষি জমিতে মাত্রারিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার, প্রজনন মৌসুমে পোনা মাছ নিধন, স্থানীয় মৎস্য বিভাগের দায়িত্বহীনতা ও আন্তরিকতার অভাব প্রভৃতি।
এক সময় এ অঞ্চলের নদী-নালা, খাল-বিল ও পুকুর-ডোবায় প্রচুর পুঁটি, শোল, টাকি, গজার, কৈ, টেংরা, মাগুর, শিং, চাপিলা, পোয়া, খৈলশা, ভেটকি, পাবদা, আইড়, মলা, ঢেলা, চিংড়ি, বাইনসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশী মাছ পাওয়া যেতো। এখন আর এসব মাছের দেখা মেলে না।
সরেজমিন উপজেলার কয়েকটি হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই, কাতলা, সিলভার কার্প, বিদেশি মাগুর, পাঙ্গাস, বিদেশী কৈ, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের পুকুরে চাষ করা মাছ বিক্রি হলেও দেশি মাছের আমদানি নেই। মাঝে মধ্যে বাজারে দেশী মাছের দেখা মিললেও নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে থাকে।
স্থানীয় মৎস্যজীবি জানান, বৈশাখ মাস থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত খাল-বিল, নদীনালা ও জলাশয় দেশী প্রজাতির মাছে ডিম পাড়ে। এ সময় এক শ্রেণীর অসাধু জেলেরা নির্বিচারে ছোট মাছ শিকার করায় মাছ বংশবিস্তার করতে পারছে না। ফলে দিন দিন বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে দেশী প্রজাতির মাছ।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস, এম শাহজাহান সিরাজ বলেন, দেশী মাছ চাষের সমন্বিত উদ্যোগ, পুকুর-ডোবায় কীটনাশক প্রয়োগ কমানো ও প্রজনন মৌসুমে মা মাছ ধরা বন্ধ হলে মৎস্য সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ