রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহীর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে সোয়া কোটি টাকার টেন্ডারের দরপত্র জমাদানে বাধা প্রদান করেছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ।
এ নিয়ে ওই এলাকায় উত্তেজনায় ছড়ালে পুলিশ গিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে নির্বিঘ্নে দরপত্র জমাদেন ঠিকাদাররা। অভিযোগ উঠেছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতারা দরপত্র জমায় বাধা দিয়েছেন।
জানা গেছে, এরা নগরীর হেতেমখাঁ এলাকার বাসিন্দা। তবে বিষয়টি সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন নগর ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘ছাত্রলীগ এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত নয়। এছাড়া ওই এলাকায় ছাত্রলীগের কোন কমিটিও নেই।’’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দরপত্র জমা দানকারী ঠিকাদাররা জানিয়েছেন, দরপত্র জমায় বাধাদানকারীরা সবাই স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। বেলা ১১টার দিকে তারা দরপত্র জমা দিতে সিভিল সার্জনের দপ্তরে গেলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়েন। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ালে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ গিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এ বিষয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। মাঝে কিছু সময়ের জন্য দরপত্র জমাদান বন্ধ ছিলো। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ঠিকাদাররা নির্বিঘ্নে তাদের দরপত্র জমা দিয়েছেন।
তাদের কাছে অভিযোগ ছিলো, ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী দরপত্র জমাদানে বাধা দিচ্ছিলেন। তবে এ নিয়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এরপর থেকে সিভিল সার্জন দপ্তরে পুলিশ মোতায়েন ছিলো বলে জানান ওসি। এদিকে, রাজশাহী সিভিল সার্জনের দপ্তর থেকে জানানো হয়, রাজশাহীর বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মালামাল সরবরাহে গত ৩১ মার্চ এক কোটি ১৬ লাখ টাকার ওই দরপত্র আহবান করা হয়। আজ বৃহস্পতিবারই ছিলো দরপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন।