পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের কাছে বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে সহায়তা চাইলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মন্ত্রী এ সহায়তা চান। ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে ভারতীয় মহাসাগরীয় সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে গতকাল মঙ্গলবার এ সব সহায়তা চান মন্ত্রী। পরিকল্পনা মন্ত্রীর দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে। সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠককালে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জ্বালানি খাত উন্নয়নে ভারতের সহায়তা প্রয়োজন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও পূর্বাঞ্চলীয় অংশ থেকে বিদ্যুৎ রফতানির বিষয়ে চলমান আলোচনা এগিয়ে নিতে এ সময় সুষমা স্বরাজের কাছে সহায়তা চান পরিকল্পনামন্ত্রী। নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতেও তিনি দেশটির সহযোগিতা চান।
গত মঙ্গলবার ভারতীয় মহাসাগর সম্মেলন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। দুইদিনের এ সম্মেলন গতকাল বুধবার শেষ হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অকৃত্রিম বন্ধুসুলভ সহযোগিতার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্যকার চার দেশীয় পরবিহন নেটওর্য়াক (বিবিআইএন)-এর সাম্প্রতিক সফলতার কথা উল্লেখ করেন মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, বিবিআইএন দেশগুলোর অর্থনীতিতে নবধারার সঞ্চার করে পারস্পরিক সম্পর্কের এক নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে। চার দেশীয় পরিবহন নেটওয়ার্ক গঠনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে অভিন্ন পরিবহন নেটওয়ার্ক।
উপ-আঞ্চলিক স¤প্রীতি ও বন্ধন দৃঢ় করতে বিবিআইএন মোটর ভেইকল এগ্রিমেন্ট পারস্পরিক সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলেও জানান মন্ত্রী।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তবে শুল্ক ও অশুল্ক বাধার কারণে ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলেও তিনি সুষমা স্বরাজকে জানান।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে সব ধরনের বাধা দূর করতে তিনি ভারতের প্রতি আহ্বান জানান। সুষম পদ্ধতিতে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রস্তাব দেন পরিকল্পনামন্ত্রী। আলোচনায় রোহিঙ্গা সমস্যাটিও স্থান পায়।
এ সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থেকে ভারত সহযোগিতা করবে বলে পরিকল্পনামন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। মিয়ানমারের প্রতি কার্যকরী চাপ প্রয়োগ করে দ্রুত শর্তহীন প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে ভারতের কার্যকর সহায়তা চেয়েছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।