পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সময়মতো জোরালো কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া উড়ে এসে রাজনীতিতে বসেননি। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করার পর অনেকে ভেবেছিল বিএনপি শেষ, ভেঙে যাবে। কিন্তু তখন খালেদা জিয়া জাতীয়তাবাদী পতাকা হাতে দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ যৌথসভার আয়োজন করা হয়। ফখরুল বলেন, সরকারের ভাবনায় খালেদা জিয়া ও বিএনপি। কারণ সরকার বিএনপি ছাড়া কাকে মোকাবেলা করবে? বিএনপি ছাড়া কোনো দল আছে নাকি?
আওয়ামী লীগ নির্বাচনের পাশাপাশি বিএনপিকে প্রতিহত করার প্রস্তুতির ঘোষণা দিয়েছে - এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা তো বলেছি প্রথম শর্ত খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে, তারপর নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে হবে।নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে, সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জনগণ তাদেরকে ভোট দেবে না। সেই জনগণকে তারা কিভাবে মোকাবেলা করবে?
ইতোমধ্যে দেখেছেন জনগণ কিভাবে তাদের পুঞ্জিভূত ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। তাই তারা যদি ফের জোর করে ভোটবিহীন নীলনকশার মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায় তাহলে জনগণের প্রতিরোধে তাদের ঘর তাসের ঘরের মতো ভেঙে যাবে।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, দেশে ক্রান্তিকাল চলছে। নির্ভর করছে আগামীতে দেশে গণতন্ত্র থাকবে কিনা। তাই একাদশ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এমন যদি হয় বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলো না তাহলে কি নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে? গ্রহণযোগ্য হবে না।
১ সেপ্টেম্বর দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচিও ঘোষণা করেন তিনি। ১ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টায় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, পোস্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ। একই দিন বেলা ১১টার দিকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করবেন দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। এছাড়া, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ১ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে জনসভা করার জন্য অনুমতি চেয়েছে বিএনপি। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কিংবা নয়াপল্টনে দলের কার্যালয়ের সামনে অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, আব্দুল আউয়াল খান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাসিম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।