পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বানিজ্য চুক্তি (এফটিএ বা ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট) দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান জানিয়েছেন শ্রীলংকায় সফররত পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল ভিয়েতনামের হ্যানয়ে দুদিনব্যাপী ভারতীয় মহাসাগর সম্মেলন, ২০১৮-এর প্রাক্কালে শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের সঙ্গে এক বৈঠকে অংশগ্রহন করে এ আহবান জানান তিনি।
হ্যানয়ের প্যান প্যাসিফিক হ্যানিতো হোটেলের সভাকক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী পরিকল্পনামন্ত্রীর আইসিসির সভাপতি থাকাকালীন সফলতার কথা স্মৃতিচারন করে বিশ্বাব্যাপী ক্রিকেটের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করেন।
শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বলেন, বাংলাদেশে শ্রীলংকার একটি বড় জনগোষ্ঠী উৎপাদন ও সেবা খাতকে সহায়তা করতে প্রযুক্তি ও পরিচালনা পদে অত্যন্ত বন্ধুসুলভ পরিবেশে কাজ করে চলেছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীতামুলক দ্বিপক্ষীয় বানিজ্য বাড়ানোর প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী ২০১৭ সালের শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রীপালা সিরিসেনার বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই সফরের মাধ্যমে দুদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরো বেশী গভীরতর হয়েছে। তিনি সফরকালীন স্বাক্ষরিত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক দ্রুত বাস্তবায়নের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বানিজ্য চুক্তি (এফটিএ বা ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট) বাস্তবায়নের দ্রুতগতি আনয়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। মুক্ত বানিজ্য চুক্তি বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার বানিজ্য সম্পকর্কে আরো বেশী বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্কে পরিনত করবে। বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যে বর্তমানে বাণিজ্য মাত্র ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা এফটিএ কার্যকরীর মাধ্যমে আরো কয়েকগুন বৃদ্ধি করা সম্ভব।
পরিকল্পনামন্ত্রী গত তিন বছর ধরে ঝুলে থাকা উপকুলীয় জাহাজ চলাচল চুক্তির কথাও উল্লেখ করেন। এই উপকুলীয় জাহাজ চলাচল চুক্তি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ কলম্বো হয়ে সহজে পশ্চিমে বানিজ্য সম্প্রসারন করে রফতানী বৃদ্ধি করতে পারবে, পাশাপাশি শ্রীলংকাও উপকৃত হবে।
দুদেশের মধ্যে দ্রব্য ও সেবা বাণিজ্য আরো বৃদ্ধির জন্য দ্বিপাক্ষীয় মুক্ত বানিজ্য চুক্তি (এফটিএ বা ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট) এবং সামুদ্রিক পরিবহন সহযোগতিা চুক্তি সহজতর করতে শ্রীলংকান সরকার অত্যন্ত যত্মবান হবে বলে শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করেন।######
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।