পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বছরের দুটো ঈদের মাঝখানে ব্যবধান মাত্র ২ মাস ১০ দিন। রমেজানের ঈদের মতোই এবারও পর্যটকরা ভিড় করেছেন সিলেটের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পরিবার নিয়ে অনেকেই এখন সিলেটে অবস্থান করছেন। হোটেল ও গেস্ট হাউসে কোনো রুম খালি নেই।
তেমন একটা ভিড় দেখা যায়নি ঈদের দিন। সিলেটের স্থানীয়রাই ঈদের নামাজ আদায় ও কোরবানির শেষে দুপুরের পরই ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। সবারই গন্তব্য ছিল বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। তবে ঈদের দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার পর সিলেটে বাড়তে থাকে পর্যটকদের উপস্থিতি। বিশেষ করে ঈদের পর গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত দু’দিনে হোটেল ও গেস্ট হাউসের কোনো রুমই খালি পাওয়া যায়নি।
ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার থেকে। সাপ্তাহিক বন্ধ দু’দিন থাকায় ছুটি পাঁচ দিনে গড়িয়েছে। সিলেটের স্থানীয়রা জানান, টানা পাঁচ দিনের ছুটিতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের বেজায় ভিড়। আজ শনিবার দুপুরের পর থেকে পর্যটকরা সিলেট ছাড়তে শুরু করবেন। সিলেট থেকে ঢাকার পথে ছেড়ে যাওয়া আন্ত:নগর পারাবত এক্সপ্রেস, জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস ও উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনে কোনো আসনই খালি নেই।
একই চিত্র দেখা গেছে সিলেট-ঢাকা রুটে চলাচলকারী বিলাসবহুল শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ও সাধারণ বাসের ক্ষেত্রে। বিশেষ করে দুপুরের কোনো বাসেরই টিকিট নেই। এমন কি নৈশ বাসের টিকিটও ঈদের আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। পর্যটকরা সিলেট ছাড়ার পরই পর্যটন কেন্দ্রগুলো আপাতত ফাঁকা হয়ে যাবে। আবার ভিড়ে ঠাসা দেখার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে শীত মৌসুম শুরু না হওয়া পর্যন্ত।
সিলেট জেলা প্রশাসনের মতে, জাফলং, বিছনাকান্দি ও সাতছড়িতেই পর্যটকদের ভিড় সবচেয়ে বেশি। এরপরই রয়েছে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় অবস্থিত মাধবকুন্ডে। বিশেষ করে উঁচু পাহাড়ের উল্টো দিকে ভারত। আর ভারত প্রান্ত থেকে নেমে আসা মাধবকুন্ডের অপরূপ ঝরনার পানি দেখার জন্যই পর্যটকরা দিনভর পড়ে থাকেন। এই গরমে জাফলংয়ে পিয়াইন নদের শীতল পানিতে নেমে পর্যটকদের মন প্রশান্তিতে ভরে যায়। সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের পক্ষ থেকে সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনকে পর্যটকদের নিরাপত্তার দিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন ছাড়াও পুলিশ প্রশাসন সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দিকটি দেখছে।
গতকাল পর্যন্ত ঈদ পরবর্তী দু’দিনে পর্যটকদের কাছ থেকে কোন ধরনের অভিযোগ পায়নি পুলিশ প্রশাসন। তবে পর্যটকদের ক্ষোভ রয়েছে ভাঙাচোরা সড়ক নিয়ে। তাদের কথায়, সিলেট শহর থেকে জাফলং কিংবা মাধবকুন্ডে যেতে সড়কের কষ্টাই সব থেকে বেশি ভোগায়। বিশেষ করে পরিবার নিয়ে আসায় যে দুর্ভোগ পোহাতে হয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।