পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বিনা ভোটের প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের মন্ত্রীরা প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জড়িয়ে নানা বিষয়ে উদ্ভট কথা বলে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার ঢাকার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ রিজভী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকার ভোটারদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এমনটা এখন আর কেউই ভাবেন না।
রিজভী অভিযোগ করেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিপর্যস্ত করতে অবৈধ সরকার যে দমননীতির উত্থান ঘটিয়েছে তা নজিরবিহীন ও হিংসাশ্রয়ী। প্রধানমন্ত্রী যেন ব্যক্তিগত জিঘাংসা চরিতার্থ করতেই তাদের ওপর রাষ্ট্রযন্ত্রকে যথেচ্ছ ব্যবহার করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে গতকাল ঈদের দিনে দলের সিনিয়র নেতাদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি। অনেক দেরিতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা কারা ফটকের বাইরে আত্মীয়-স্বজনদের অপেক্ষা করিয়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দেখা করতে দিলেও বাসা থেকে সঙ্গে আনা রান্না করা খাবার ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সকাল থেকে না খেয়ে অভুক্ত অবস্থায় খালেদা জিয়া অপেক্ষা করছিলেন স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে একসঙ্গে আহার করবেন। অনেকদিন পর প্রিয় নাতনিকে সঙ্গে নিয়ে খাবেন। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ সরকারকে খুশি করতেই খাবার নিতে দেয়নি। অভুক্ত খালেদা জিয়া বুকফাটা হাহাকারে নাতনি ও আত্মীয়দের সঙ্গে খাবার খেতে পারলেন না। স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে একসঙ্গে খাওয়ার যে আশায় তিনি সারাদিন অভুক্ত থাকলেন, সে আশা তাঁর পূরণ হলো না। বাবাহারা নাতনিও এক বিশাল শূন্যতা নিয়ে দাদির ওপর সরকারি নির্দয়তার বিভৎস্য রূপ দেখে বুকফাটা কান্না নিয়ে ফিরে আসে। স্বজনেরাও কাঁদতে কাঁদতে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। বিএনপি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী জনগণের উদ্দেশ্যে বলেছেন, নির্বিঘ্নে নিজের বাড়িতে ঈদ করার জন্য নাকি সরকার সবকিছু করেছেন। এই ডাহা মিথ্যাচারের নীরব প্রতিবাদে সারা দেশ উত্তাল। ঈদের দিনেই ১০ জন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন অসংখ্য। জীবন বাঁচাতে অনেক মানুষ এবার সড়ক পথের বদলে ট্রেন ও লঞ্চের দিকে বেশি ঝুঁকেছে। ঘরমুখো মানুষ পরিজনদের সঙ্গে ঈদ উৎসবে অংশগ্রহণ করার জন্য বাদুড়ঝোলা হয়ে ট্রেনে চড়েছে। ট্রেনের ছাদ এবং ভেতর লোকে লোকারণ্য। সড়ক-মহাসড়ক যেন বধ্যভূমি। গ্রামীণ রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়ে গেছে। দুই যানবাহনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ, যানবাহনের বেপরোয়া দ্রুতগতি, ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি মাল পরিবহন, অস্বাভাবিক দ্রুতগতির জন্য চালকের নিয়ন্ত্রণ হারানো, ওভারটেক ইত্যাদি নানা আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের জন্য ঈদের খুশির দিনেও বাড়িতে বাড়িতেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এই হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করার নমুনা।
রিজভী বলেন, কিছুদিন আগে কোমলমতি শিশু-কিশোররা এই যন্ত্র দানবের বেআইনি চলাচলের কারণে সহপাঠীদের মৃত্যুতে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে। তারা গাড়ির লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেসের কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখিয়ে দিয়েছে সরকারের কর্তব্য কি হওয়া উচিত। কিন্তু সরকার সে কোমলমতি শিশু-কিশোরদের ওপর নিজেদের ক্যাডারদের লেলিয়ে দিয়ে রক্তাক্ত করল, গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে বর্বরোচিত নির্যাতন করল। তাতে সড়ক-মহাসড়কে বেপরোয়া গাড়ি চালকেরা ও ফিটনেসহীন গাড়ির মালিকেরা আরও বেশি উৎসাহিত হয়ে উঠল। তারা ভাবল সরকার তাদের পক্ষে। সুতরাং পবিত্র ঈদের দিনেও সড়ক-মহাসড়কে মৃত্যুর মিছিল থামল না। কোরবানি ঈদে মানুষের শান্তি, আনন্দ উৎসব কোরবানি হয়ে গেল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।