পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদের দিনে খালেদা জিয়ার জন্য কারাগারে বাসায় রান্না করা খাবার নিতে না দিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ ‘অমানবিক’ আচরণ করেছে বলে জানিয়েছে বিএনপি।
রাতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারা কর্তৃপক্ষের এই আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বুধবার কোরবানির ঈদের দিন খালেদা জিয়ার স্বজনরা বাসা থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে গেলেও তা ভেতরে নিতে দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ।
কারা কর্তৃপক্ষের সমালোচনায় মির্জা ফখরুল বলেন, “আগেই কারা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে তার পরিবারের সদস্যরা দুপুরে খাবার নিয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন। এটা তারা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে নিয়েছিলেন। সেখানে যাওয়ার পর বলা হয় যে, ছয়জনের বেশি কেউ দেখা করতে পারবেন না এবং খাবার নিয়ে যেতে পারবেন না। এটা নজির বিহীন ঘটনা।
“দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া- তিনি তিনবার এই দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, দুই বার বিরোধীদলের নেতা ছিলেন, তিনি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন। তার সঙ্গে যে আচরণটা আজকে করা হয়েছে এটা অমানবিক। অতীতে কখনো এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
ফখরুল বলেন, “ঈদের দিনে বাসার খাবার কারাগারে নিতে দেয়া হয়নি। এটা নজিরবিহীন। সেজন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া না খেয়েই ছিলেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। গত ঈদেও খাবার নিয়ে গিয়েছিল। এবার কেন এমন? যখন মিথ্যা মামলার জামিনগুলো তার শেষে দিকে, ঠিক সেই সময়ে তারা এই আচরণ করছেন।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী যেভাবে কথা বলেছেন এটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য না।”
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, “কারা কর্তৃপক্ষ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বজনদের বলেছে, এটা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ, সরকারের নির্দেশ। আমাদের দেশের কারাগার চলে জেল কোড অনুযায়ী। এখানে আইজি প্রিজন হচ্ছেন বড় কর্তৃপক্ষ ও সিদ্ধান্ত প্রদানের ব্যক্তি। সেই আইজি প্রিজন যখন বলেন যে, আমি কিছু করতে পারছি না, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ আছে। তখন বুঝতে হবে এখন দেশে এক ব্যক্তির শাসন চলছে।”
কারাগারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রথম শ্রেণির বন্দি হিসেবে ঈদের সকালে দুধ-সেমাই, জর্দা এবং মিষ্টি দেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। তার পছন্দ শুনে সে অনুযায়ী দেওয়া হয় দুপুরের খাবারও।
ফখরুল বলেন, “ঈদের দিনে বাসার খাবার কারাগারে নিতে দেওয়া হয়নি। এটা নজিরবিহীন। সেজন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া না খেয়েই ছিলেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।”
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, “গত ঈদুল ফিতরে দিনে কারাগারে ২০ জনকে দেশনেত্রীর সাথে দেখা করতে দেওয়া হয়। বাসা থেকে খাবার নিতে দেওয়া হয়েছে। আড়াই মাসে দেশে আইনের কোনো পরিবর্তন হয়েছে কী? কারাবিধির কী কোনো পরিবর্তন হয়েছে? কেন ৬ জনের বেশি যেতে পারবে না, কেন খাবার দিতে পারবে না।”
“আমরা মনে করি এসব আচরণ নিপীড়ন-নির্যাতনমূলক, অত্যাচারী আচরণ। এটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।”
জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজা হওয়ার পর এটি কারাগারে খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় ঈদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।