পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ঈদের জামাতের নিরাপত্তায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দান ঘিরে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে ডিএমপি। এছাড়া রাজধানীর সব ঈদ জামাতকে ঘিরে সমন্বিত, সুদৃঢ় ও সুবিন্যস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। গতকাল জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ সব কথা জানান।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সমগ্র ঈদগাহ এলাকা ও এর আগমন-বহির্গমন পথসহ চারপাশের এলাকা সিসিটিভির আওতায় থাকবে। ডিএমপির কন্ট্রোলরুম থেকে সিসি ক্যামেরাগুলো সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। তিনটি সড়ক ব্যবহার করে ঈদগাহে প্রবেশ করতে হবে। ঈদগাহের মূল গেট ছাড়াও শিক্ষা ভবন, মৎস্য ভবন ও প্রেসক্লাবের সামনে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে নামাজে আগম মুসল্লীসহ সবাইকে তল্লাশি করে ঈদগাহে প্রবেশ করানো হবে। ঈমামের পেছনে ভিআইপিদের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্থা থাকবে এবং সেখানে প্রবেশের সময় সবাইকে আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশী করা হবে।
তিনি বলেন, পোষাকে ও সাদা পোষাকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের মাধ্যমে সমন্বিতভাবে জাতীয় ঈদগাহের চারপাশে বহিঃবেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে পুরো এলাকা সুইপিং করা হবে। যে কোনো সময় যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াত ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট প্রস্তুত থাকবে। ফায়ার সার্ভিস ও মেডিক্যাল টিম আলাদাভাবে প্রস্তুত থাকবে। পুরো ঈদগাহ এলাকা ওয়াচ টাওয়ার দিয়ে পর্যবেক্ষণের আওতায় থাকবে। প্রতিবছরের মতো এবারের ঈদ জামাতেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারও নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক জোরদার করা হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররম ছাড়াও নগরীর সব ঈদের জামাতে আয়োজকদের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। তিনি তল্লাশিকালে মুসল্লীদেরকে পুলিশকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ঈদ জামাতে অংশগ্রহণের জন্য আগত মুসল্লিগন কেবলমাত্র জায়নামাজ সঙ্গে আনবেন। যদি বৃষ্টি পড়ে প্রয়োজনে ছাতা আনা যাবে। এছাড়া অন্য কোন দ্রব্য বা বস্তু নিয়ে ঈদগাহে আসা যাবে না। ঈদ উপলক্ষে এখনো নগরীর কোথাও ছিনতাই বা অজ্ঞানপার্টির তৎপরতার খবর পাওয়া যায়নি দাবি করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এবার রাজধানীর কোথাও অননুমোদিত গরুর হাট বসতে দেওয়া হয়নি। এছাড়া কোথাও কোন অজ্ঞান চক্রের তৎপড়তা টের পাওয়া যায়নি।
ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন, প্রায় এক কোটি মানুষ রাজধানী থেকে বের হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাবে। এ জন্য ঢাকার বহির্গমন পথগুলোতে পুলিশের কড়া নজরদারি রয়েছে। ফাঁকা ঢাকার এবং নগরীর শপিংমলগুলোর নিরাপত্তায় পুলিশের টহল টিম ও চেকপোস্ট বাড়ানো হবে। ঈদ কেন্দ্রিক সার্বিক নিরাপত্তায় ডিএমপির ১৪ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুস্পষ্ট কোনো থ্রেট নেই, তবে আগাম পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।