পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জনগণের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিরোধী বৃহত্তর ঐক্য গড়তে বিএনপিকে চায় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহবায়ক আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। বিএনপিকে সঙ্গে রাখতে এবং থাকতে তিনি তিনটি শর্ত দেবেন জানা গেছে। তাঁর প্রথম শর্তই হচ্ছে জামায়াতকে ২০ দলীয় জোট থেকে বাদ দেয়া। অন্য দুটি শর্ত হলো ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম থেকে তথা জোটগত ভাবে বেগম জিয়াকে মুক্তির দাবি এবং তারেক রহমানকে রাজনীতিতে পুনর্বাসন করা যাবে না। তবে বিএনপি নিজের মতো করে এসব দাবি করতে পারবে, কর্মসুচি দিতে পারবে।
এছাড়াও গণফোরামের পক্ষ থেকে সাত দফা লিখিত প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে বিএনপির নেতাদের। গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী এসব শর্তের কথা স্বীকার করলেও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ইনকিলাবকে জানান, ড. কামাল হোসেনের এ ধরণের কোনো শর্তের কথা তিনি বা তারা জানেন না। দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, জনগগণের ভোটের অধিকার রক্ষায় সব দলের অংশগ্রহণে আগামীতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিকল্প নেই। এ জন্য বিভিন্ন দাবিতে বিএনপির সঙ্গে জোট গঠনে আপত্তি নেই প্রখ্যাত আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের। তবে বিএনপিকে শর্তগুলো মেনে চলতে হবে।
ড. কামাল হোসেনের তিন শর্তের বিষয় গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। তিনি একটি দৈনিকে বলেছেন, প্রথম শর্ত- জামায়াতের সঙ্গে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য কোনোভাবেই আমরা (গণফোরাম) জোট করবো না। দ্বিতীয় শর্ত- জোটগতভাবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করা যাবে না। তৃতীয় শর্ত- জাটগতভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া যাবে না। তবে দেশের বৃহৎ এবং ব্যাপক জনসমর্থিত দল হিসেবে বিএনপি নিজেদের মতো করে তাদের কারাবন্দি দলীয় প্রধানের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার থাকতে পারে। তারা চাইলে দলগতভাবে তারেক রহমানের প্রসঙ্গটি সামনে আনতে পারে। কিন্তু এর সঙ্গে জোটের বা গণফোরামের কোনো সম্পর্ক থাকবে না। তিনি বলেন, বিএনপি তিনজন শীর্ষ নেতা আমাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। আমরা আমাদের কথা বলেছি, তারাও তাদের কথা বলেছে। আশা করি যোগ-বিয়োগ করে আমরা একটি ঐকমত্যে পৌঁছুতে পারবো। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ড. কামাল হোসেনের দেয়া ধরণের শর্তের ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। ড. কামাল হোসেনের শর্তের ব্যাপারে জানতে চাইলে একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, শর্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। বিষয় আপনি বর্তমান পরিস্থিতিতে ঐক্য করতে চান কিনা। আগে দেখতে হবে আপনার মানসিকতা কেমন? ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের পর বর্তমানে দেশের যে অবস্থা তাকে প্রতিটি দেশপ্রেমিকের উচিত ঐক্যবদ্ধ হওয়া। এখানে ড. কামাল হোসেন জামায়াতের বিষয়ে যে শর্ত দিয়েছে তা গ্রহণযোগ্য। অন্য দু’টি গ্রহণযোগ্য নয়। তবে বিএনপিকে তো বলা হয়েছে তারা নিজেদের মতো করে বেগম জিয়ার মুক্তি এবং তারেক রহমানের ব্যাপারে কর্মসূচি নিতে পারবে। এখানে বাধা কোথায়? আবার কামাল হোসেন ঝানু রাজনীতিক। তাকেও বুঝতে হবে দেশে ভোটের রাজনীতিতে বিএনপি’র জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁয়া। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে চাইলে বিএনপির সঙ্গে তাঁর সমঝোতা অপরিহার্য।
ড. কামাল হোসেন দীর্ঘদিন থেকে বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়ায় মাঠে রয়েছেন। চলতি বছর তিনি বি চৌধুরী, কাদের সিদ্দিকী, আসম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে আগ্রসর হন। কিন্তু যে কোনো কারণেই হোক বি চৌধুরীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হলেও ড. কামাল হোসেন ও আবদুল কাদের সিদ্দিকী সেখানে যোগদান করেননি। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটের সঙ্গে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের বাসায় ডিনার এবং বার্নিকাটের ওপর আক্রমনের পর কামাল হোসেন বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে গুন্ডাতন্ত্র কায়েমের অভিযোগ তোলেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও ড. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় আক্রমন শুরু করে। কামাল হোসেনও দৃঢ়তার সঙ্গে ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐক্য প্রক্রিয়ার ব্যানারে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন। অনুষ্ঠেয় ওই সমাবেশে ড. কামাল হোসেন বিএনপিসহ অনেকগুলো দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে চান। এ লক্ষ্যে জামায়াত ছাড়া দেশে সক্রিয় ডান-বাম-প্রগতিশীল ঘরানার প্রায় সবকটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অনুষ্ঠেয় সমাবেশে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। গত ১৮ আগষ্টও তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী। এ নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে ২০ দলীয় জোটের নেতারা কোনো মন্তব্য করতে চাই নি। তবে তারা বলেছেন, ঐক্য এখন সময়ের দাবি। সবাই যখন ঐক্যের পথে তখন ড. কামাল হোসেন এ কেমন শর্ত দেন! ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।