পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এক-এগারোর কথা বলে আওয়ামী লীগ দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ চায় না বিএনপি নির্বাচনে আসুক। এজন্যই তারা বার বার এক-এগারোর কথা বলে এবং সমস্যা তৈরি করে বিএনপিকে নির্বাচনে আসায় বাধার সৃষ্টি করছে। এর মাধ্যমে সরকার বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার আরেকটা চক্রান্ত করছে।
গতকাল (রোববার) দুপুরে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, এক-এগারো প্রসঙ্গ আবারো এনে আওয়ামী লীগ আরেকটা চক্রান্ত করতে চাইছে। এই চক্রান্তের মধ্য দিয়ে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে গণতন্ত্রকে পুনরায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগকে তারা রুদ্ধ করতে চায়। তবে আমরা সুস্পষ্ট করে বলে দিতে চাই সকল বাধা অতিক্রম করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে অবশ্যই দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। তিনি বলেন, বিএনপির এক-এগারো করার প্রয়োজনটা কী? আর এক-এগারোর সাথে বিএনপির তো কোনো সম্পর্ক নাই। বিএনপি তো এখন ড্রাইভিং সিটে নাই। ড্রাইভিং সিটে আছে তারা (সরকার)। এক-এগারো করার অভিজ্ঞতা তাদের, এক-এগারোর সুবিধাভোগী তারা। তারা এর মাধ্যমে ক্ষমতায় এসছে এবং তারা ওই অবৈধ সরকারকে শুধু সমর্থন করেনি, তাদের সমস্ত কর্মকান্ডকে বৈধতা প্রদান করেছে। বিএনপিকে এর মধ্যে নিয়ে আসার মানে হচ্ছে তাদের কুমতলব আছে।
ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রাপথে ব্যাপক যানজটের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার উন্নয়নের কথা বলছে। উন্নয়ন কী হচ্ছে? এটা তো আপনাদের টেলিভিশনের পর্দায়।একটা জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে ১৮-২০ ঘণ্টা থেকে ২৪ ঘণ্টাও লাগছে। কোনো উন্নয়ন নাই। আছে দুর্ভোগ, ভোগান্তি। এর আগে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে বেলা ১২টায় শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ফখরুল। তারা মরহুম নেতার রুহের মাগফেরাত কামনায় মোনাজাতেও অংশ নেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নাজিমউদ্দিন আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ইয়াসীন আলী, ফখরুদ্দিন রবিন, রেজাওয়ানুল হাসান রিয়াজ, এস এম জিলানি, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবি: কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবীতে আন্দোলনরত কিশোর-কিশোরী ছাত্র-ছাত্রীদের নামে মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার ও রিমান্ডে নেয়ার তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি ঈদের আগেই তাদের মুক্তি দাবী করেন। গতকাল এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত কয়েক মাসে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা দু’টি ভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলন করে আসছিল। এই আন্দোলনের প্রকৃতি ছিল সম্পূর্ণভাবে ভিন্নধর্মী। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবীতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন প্রচলিত রাজনৈতিক ও পেশাজীবীদের আন্দোলনের সাথে কোন মিল নেই। বাসের চাপায় সহপাঠীদের মৃত্যুতে স্কুল-কলেজে পড়ুয়ারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল প্রতিবাদ জানাতে। ভবিষ্যতে প্রাণহানী থেকে সহপাঠিদের বাঁচানোসহ বিভিন্ন দাবী-দাওয়া নিয়ে কোমলমতি শিশুকিশোরদের এই আন্দোলন ছিল সবার জন্য শিক্ষনীয়। কিন্তু সরকার বলপ্রয়োগের মাধ্যমেই নির্দোষ আন্দোলন দমাতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় সরকারী ছাত্র-যুব সংগঠনের ক্যাডাররা এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের উপর সশস্ত্র আক্রমন চালায়। এতে শিশু-কিশোর-তরুণরা রক্তাক্ত হয়েছে, শারীরিক হামলায় ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে। এই দৃশ্য জাতির মর্মমূলে নাড়া দিয়েছে, সারাজাতি এখন স্তম্ভিত ও ব্যাথিত।
তিনি বলেন, নিজ দলের ক্যাডারদের দ্বারা পৈশাচিক কায়দায় শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করার পরও সরকারের দমন-পীড়ন থামছে না। শুরু হয়েছে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বিচারে শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার ও রিমান্ডে নেয়ার হিড়িক। ইতোমধ্যে উস্কানী, ভাংচুরের মিথ্যা অভিযোগে ৫১টি মামলায় আন্দোলনরত প্রায় ৯৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই গ্রেফতার অভিযানে শিশু ও ছাত্রীদেরকেও ছাড়া হয়নি-যা সবচাইতে অমানবিক, আতঙ্কজনক ও নজিরবিহীন ঘটনা। আন্দোলন নিয়ে স্বাধীনভাবে মত-প্রকাশের জন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোচিত্রী ড. শহীদুল আলমসহ লেখক-শিল্পি-কলাকুশলী-অনলাইন এক্টিভিস্ট কেউই সরকারের রোষানল থেকে রেহাই পায়নি। দেশ যেন এখন জুলুমের বৃত্তে অন্ধকূপে পরিনত হয়েছে। ভয় আর আতঙ্ক এখন মানুষের নিত্যসঙ্গী। বাংলাদেশকে নিরব-নিস্তব্ধ বিরান ভুমিতে পরিনত করার জন্যই যৌক্তিক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শৈশব -উত্তীর্ণ কিশোর ও তরুণ শিক্ষার্থীদের সরকারী জুলুমের কষাঘাতে জর্জরিত করা হচ্ছে। ####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।