Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নৌপথে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখী মানুষের ঈদ যাত্রা শুরু

নাছিম উল আলম : | প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০১ এএম

রাজধানী ও চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে নৌ পথে ঈদে ঘরমুখী লাখ লাখ মানুষের যাত্রা শুরু হয়েছে। মাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলেও ফেরি পারাপার পরিস্থিতি এখনো নাজুক। গতকাল ১০ সহস্রাধিক যানবাহন পারাপারের পরেও অপেক্ষমান ছিল আরো দেড় সহস্রাধিক। এ অবস্থায়ই যথেষ্ঠ ঝুকির মধ্যে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে গতকাল দক্ষিণাঞ্চলমুখী প্রায় দুইশ যাত্রী বোঝাই নৌযান ঢাকা বন্দর ত্যাগ করে। তবে রাজধানীর সাথে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সংক্ষিপ্ত সড়ক পথে পদ্মায় গভীরতা উন্নয়ন সম্ভব হওয়ায় ফেরি চলাচল কিছুটা উন্নতি হয়েছে গতকাল। দিনরাত ড্রেজিং করে শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী নৌপথে পলি অপসারনের ফলে পদ্মার লৌহজং চ্যানেলটির গভীরতা প্রায় ১০ ফুটে উন্নীত করা সম্ভব হয়ছে। ফলে গতকাল ১টি রো-রো ছাড়াও ১০টি কে-টাইপ ও ডাম্ব ফেরি ঐ নৌপথে যানবাহন পারপার করে। শনিবার সন্ধ্যা থেকেই ঐ ফেরি রুটে ৬টি ডাম্ব ফেরিতে যানবাহন পারপার শুরু হয়। গতকাল সকাল পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ২শ’ যানবাহন পারপার সম্ভব হয়। তবে এর পরেও অপেক্ষমান যানবহানের সংখ্যা ছিল প্রায় ৪শ’। পারপারকৃত যানবাহনের সংখ্যা আগের দিনের প্রায় দেড়গুন বৃদ্ধি পাওয়ায় অপেক্ষমানের সংখ্যা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। এখনো পদ্মায় দিনরাত ড্রেজিং অব্যাহত রয়েছে। আগামী সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ফেরি রুটগুলেতে দিন-রাত সবধরনের ফেরি চলাচল নির্বিঘ্ন করা সম্ভব হবে বলে বিআইডব্লিউটিএ দায়িত্বশীল সূত্রে বলা হয়েছে।
গতকাল সকাল ৬টার পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় দৌলতদিয়া রুটে ৭ হাজার ৩শ’র মত যানবাহন পারপারের পরেও সেখানের দুই প্রন্তে প্রায় সাড়ে ৫শ’ অপেক্ষমান ছিল। চাঁদপুর-শরিয়তপুর ৩টি কে-টাইপ ফেরির সাহায্যে ৩৬০টির মত যানবাহন পারপারের পরেও অপেক্ষমান ছিল ২৬৫টির মত । অপরদিকে দেশের দীর্ঘতম দুরত্বের ফেরি রুট ভোলা-লক্ষীপুরের মধ্যে চলাচলরত ৩টি কে-টাইপ ফেরির সাহায্যে প্রায় আড়াইশ’ যানবাহন পারাপারের পরেও অপেক্ষমান ছিল আরো প্রায় পৌনে ২শ’। একই মহাসড়কের ভোলা ও বরিশালের মধ্যবর্তী ভেদুরিয়া-লাহারহাট ৩টি ইউটিলিটি ফেরির সাহায্যে গতকাল সকাল পর্যন্ত পৌনে ৩শ’ যানবাহন পারপার করে বিআইডব্লিউটিসি। তবে অপেক্ষমান ছিল আরো শতাধিক যানবাহন।
ঈদকে সামনে রেখে গতকাল দুপুরের পর থেকে দেশের সবগুলো ফেরি রুটে যানবাহনের বাড়তি চাপ শুরু হয়েছে। ঈদের ঘরমুখী মানুষের স্রোতে আজ ও আগামীকাল যানবাহন সংখ্যা বছরের যেকোন সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছবে। নৌপথের সংকট কিছুটা দুর হওয়ায় যানবাহন পারপারে উন্নতি হয়েছে। যানবাহন পারাপার বৃদ্ধির ফলে সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতিও আশা করছেন কর্তৃপক্ষ।
তবে গতকাল শেষ রাত থেকে প্রতিকুল আবহাওয়া পরিস্থিতির কারনে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চাঁদপুর থেকে দক্ষিণাঞ্চলমুখী নৌপথে যাত্রী পরিবহন কিছুটা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। জন স্রোত সামাল দিতে বেশীরভাগ বেসরকারি নৌযানের ছাদেই যাত্রীরা ভ্রমন করতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক নৌযানই নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘন্টা অগেই ঢাকা নদী বন্দর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। বিশেষ করে ঢাকা-বরিশাল নৌপথের বেসরকারি নৌযানগুলো গতকাল সন্ধ্যার সাথে যাত্রী বোঝাই করে বন্দর ত্যাগ করে মধ্য রাতে বরিশাল পৌঁছে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে পুনরায় ঢাকা ফিরে গেছে। শুধুমাত্র ঢাকা-বরিশাল নৌপথেই গতকাল থেকে অন্তত ১৮টি বেসরকারি নৌযান ডবল ট্রিপে যাত্রী পরিবহন শুরু করেছে। আগামীকাল পর্যন্ত এভাবেই ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর হয়ে কয়েক লাখ যাত্রী দক্ষিণাঞ্চলে পৌছবে। তবে বিআইডব্লিউটিসি গতকালও কোন বিশেষ সার্ভিসের ব্যবস্থা রাখেনি। সংস্থার একাধিক নৌযান ঢাকা ঘাটে অলস পড়েছিল।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ