পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এক-এগারোর বেনিফিশিয়ারি এই আওয়ামী লীগ এটা ভুলে গেলে চলবে না। এখন তারাই আবার ১/১১ ধোঁয়া তোলে নতুন করে ষড়যন্ত্র করতে চাইছে। গতকাল সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের উদ্যোগে আয়োজিত সংহতি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব একটি মারাত্মক কথা বলেছেন। এক-এগারোর পদধ্বনি তিনি শুনতে পাচ্ছেন। এরপরও আপনি (ওবায়দুল কাদের) সরকারে আছেন! এখনো পদত্যাগ করছেন না! সরকার আপনাদের আর আপনি এক-এগারোর পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন?’
মির্জা ফখরুল বলেন, এই ওবায়দুল কাদেরের সরকার ১/১১ তে এত বেনিফিশিয়ারি যে সরকারে যাওয়ার আগেই, তাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) বিদেশে যাওয়ার আগেই বলেছিলেন যে আমরা এই ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন অবৈধ সরকারের সব কর্মকান্ড বৈধ করে দেবো। দিয়েছেনও তাই, পার্লামেন্টে আইন পাস করেছেন।
খালেদা জিয়াকে জড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৫ সালের ঘটনায় কীভাবে জোর করে খালেদা জিয়াকে যুক্ত করেন? তিনি (শেখ হাসিনা) জিয়াউর রহমানকে তাঁর সঙ্গে যুক্ত করেন? যা মুখে আসছে, তা-ই তিনি বলছেন। আমরা এই কথাগুলো বলতে চাই না। আমরা বলতে চাই, আপনি রাজনীতিবিদ, রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আছেন। আপনার মুখে এ ধরনের কথাবার্তা কখনোই শোভা পায় না। তিনি বলেন, কিন্তু এটি আপনার (প্রধানমন্ত্রী) স্বভাব। আপনি আপনার স্বভাবের মধ্য দিয়ে এ ধরনের উদ্ভট হাস্যকর কথাবার্তা বলেন। দয়া করে এ ধরনের কথাবার্তা বন্ধ করুন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাকে সঠিক পথে আসার আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে প্রথম দিন থেকেই সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। প্রকাশ্যে ছাত্রদের ন্যায়সংগত আন্দোলনকে সমর্থন করেছে বিএনপি। সেই সমর্থন অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন, নিরাপদ সড়কের দাবির আন্দোলনকে অবশ্যই সমর্থন জানাবে বিএনপি। তিনি বলেন, দেশের জনগণকে আহ্বান জানাব যে, শুধু এই নিরাপদ সড়ক নয়, নিরাপদ বাংলাদেশের জন্য আপনারা এগিয়ে আসুন, আপনারা জেগে উঠুন। আপনারা দেশকে “স্বাধীন” করুন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকার একের পর এক ভিন্ন মতকে সরিয়ে দিচ্ছে। যারা তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় তাদের সরিয়ে দিচ্ছে। একটি নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে শিশু-কিশোরদের ওপর যেভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে, একইভাবে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন করেছে। এই আন্দোলনের অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিলো না। বেঁচে থাকার প্রয়োজনে যারা নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে তাদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, তারা বলছে, আমরা নাকি উসকানি দিচ্ছি। আমরা উসকানি দেব কেন? আমরা আজকেও বলছি, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকে আমরা পূর্ণ সমর্থন জানাই। শুধু তাই নয়, আমরা আহ্বান জানাচ্ছি নিরাপদ বাংলাদেশের দাবিতে আসুন ঐক্যবদ্ধ হই। আসুন, জনগণের জন্য একটি সুন্দর রাষ্ট্র নির্মাণ করি।
ডিইউজের সহসভাপতি শাহীন হাসনাতের পরিচালনায় এবং বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরল্লাহ চৌধুরী, নাগিরক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না, বিএফইউজের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কাদেরগণি চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই শিকদার, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। ##
নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, গণতন্ত্র হত্যাকারী সরকার উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে আর আমরা এর নিচে তলিয়ে যাচ্ছি। সরকারের দুঃশাসনের উত্তরনে একযোগে লড়াই করতে হবে। সকল পেশাজীবীদের এক হতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার এখন ক্ষমতায় থাকতে মরিয়া। এ সরকারের মধ্যে কোনো মানবতা নেই। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সরকার শতাধিক শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করেছে। আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা বলেন, সরকার ফেসবুকে স্ট্যাটাসের দোহাই দিয়ে যেকাউকে গ্রেফতার করছে।
বর্তমানে সংখ্যালঘু মানুষেরাও দেশের পরিবর্তন চাই দাবি করে মান্না বলেন, এ সরকার সংখ্যালঘুদেরও নির্যাতন করেছে। তবে সামনে যারাই ক্ষমতায় আসবে তাদেরকে জনগণের সামনে বলতে হবে, বর্তমান অবস্থার পুনরাবৃত্তি হবে না। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় মাথায় হেলমেট পরে কারা আন্দোলন করেছে। সবার ফুটেজ আছে। তবুও চিহ্নিত করতে এতো সময় লাগছে কেনো?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।