Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সন্তানদের মুক্তি চেয়ে অভিভাবকদের মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০২ এএম

কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবি করেছেন অভিভাবকেরা। গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে ভুক্তভোগী অভিভাবকরা এ দাবি করেন। মানববন্ধনে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানের মা সালেহা বেগম, আরেক নেতা তারিকুল ইসলামের বাবা শফিকুল ইসলাম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক নূর খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সালেহা বেগম ছেলের মুক্তি চেয়ে বলেন, ‘আমার বাবা কোনো অপরাধ করেনি। আমার বাবাকে ছেড়ে দিন। বাবাকে ছাড়া আমি ঈদ করতে পারব না। বাবার সঙ্গে ঈদ করতে দিন।’
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ছেলে ছাত্রলীগের রাজনীতি করত। পরিবারও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।’ তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতে পাঠিয়েছিলাম। আন্দোলন করে সে এখন কারাগারে। কার কাছে গেলে ছেলেকে ফিরে পাব?’ তিনি তারিকুলসহ কোটা আন্দোলনে গ্রেফতার হওয়া সব শিক্ষার্থীর মুক্তি দাবি করেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘হাতে দড়ি বেঁধে ছাত্রদের নিয়ে যাওয়া সভ্য সমাজের লক্ষণ হতে পারে না। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘মুখ বন্ধ সমাজের মা হবেন না। সব জায়গায় ভূত দেখা ছাড়েন। ভুল পথে চালিত হবেন না। মানুষকে কথা বলতে দিন।’
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন ছিল নিরাপদ আন্দোলন। এটি সরকারবিরোধী বা সরকার পতনের কোনো আন্দোলন ছিল না। দেশের ১৬ কোটি মানুষই চাই সড়ক নিরাপদ হোক। মন্ত্রী, সাংসদ সবাই বলছেন, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের গ্রেফতার করা হবে। অথচ সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না।’
আসক’র নূর খান সাংবাদিকদের ওপরে হামলার বিচার দাবি করে বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময়ে যারা আন্দোলনকারী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে তাদের ধরা হচ্ছে না। তিনি হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। ভুক্তভোগী পরিবারের মানববন্ধনের প্রতি দেশের বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মানবাধিকারকর্মী, শিক্ষক ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ সংহতি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কোটা

২৩ ডিসেম্বর, ২০২১
১৭ নভেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ