পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেদিন থেকে বুঝতে শিখেছেন, সেদিন থেকেই তিনি জনগণের জন্য কাজ করেছেন, জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। এজন্য তাঁকে বৃটিশ ও পাকিস্তান সরকারের কাছে শত্রু হতে হয়েছে। তাদের দ্বারা নির্যাতিত হতে হয়েছে। প্রায় ১৪ বছর কারা ভোগ করতে হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকার তেজগাঁও সরকারি শিশু পরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আইন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে নগদ টাকা, বিছানাপত্র ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যে বঙ্গবন্ধু তাঁর দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম ও ত্যাগের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন দেশ এনে দিলো, সেই বঙ্গবন্ধুকে কিছু কুচক্রী মহল ও মীরজাফর নির্মমভাবে হত্যা করলো। এমনকি তাঁর দশ বছরের শিশুপুত্র রাসেলকে পর্যন্ত হত্যা করা হলো। এটি ভাবতেই অবাক লাগে। তিনি বলেন, শিশু রাসেল বলেছিল, আমি মার কাছে যাবো কিন্তু তাকে মার কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে গুলি করে হত্যা করা হয়্। আমাদের ভাগ্য ভালো যে, বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা সেদিন বিদেশে ছিলো।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ওই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর খোন্দকার মোস্তাক ও জিয়া ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করে রেখেছিল। পরবর্তীতে এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সরকারও এই নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার করেনি বরং খুনিদের চাকরি দিয়ে বিদেশে পাঠিয়েছিল।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত ৫/৬ জন খুনি বিদেশে অবস্থান করছেন। তাদের ফিরিয়ে এনে সর্বোচ্চ আদালতের রায় কার্যকর করার জোর প্রচেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে উন্নত দেশ পেয়েছি। জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার আমলে বাংলাদেশ ছিলো তলাবিহীন ঝুরি। এখন বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। গ্রাম-গঞ্জে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। বাংলাদেশ বিশ্বে মর্যাদার আসনে পৌঁছে গেছে। আইন সচিব আবু সালেহ্ শেখ মো. জহিরুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রণালয়ের উভয় বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।#####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।