পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডে জিয়াউর রহমান একা নয়, খালেদা জিয়াও জড়িত ছিল। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৫ আগস্টে নিহতদের স্মরণে আয়োজিত সভায় তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি হয়ে জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দিয়েছিল। যুদ্ধাপরাধীদের মধ্যে যারা পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে চলে গিয়েছিল, তাদের পাকিস্তানি পাসপোর্টেই এদেশের ফিরিয়ে এনে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিল জিয়া। আর ভোট চুরি করে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের সংসদে বসিয়েছে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া। তার অর্থ কি দাড়াচ্ছে? ১৫ আগস্ট হত্যাকাকান্ডে জিয়াউর রহমান একা নয়, তার স্ত্রীও হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিল।
কিছু লোক উস্কানি দিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির সুযোগ চাচ্ছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ভর করে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার পেছনে স্বাধীনতাবিরোধী সবুর খানের বংশধররা জড়িত। যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনি, যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে, তারা তো এদেশের উন্নয়ন চায় না। স্কুল শিক্ষার্থীরা কিছু দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে, আমরা তাদের দাবি বাস্তবায়ন করেছি। কিন্তু, কিছু লোক একে সুযোগ হিসেবে নিয়ে ষড়যন্ত্র মেতে উঠেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিশুদের আন্দোলনে পুলিশ প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষ ধৈর্য দেখিয়েছে। কিন্তু এ আন্দোলনকে নিয়ে বুডো হাবড়ারা কেন শিশু হয়ে গিয়েছিল। তাদের শিশু হওয়ার ইচ্ছে হয়েছিল কেন? তাদের সূত্র কোথায়? বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী সবুর খানের বংশধররা এই উস্কানি দিয়েছে।’ তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, সে সুযোগে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানি দিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছে।’
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘স্কুল ড্রেস বানানোর হিড়িক পড়ে গিয়েছিল, দর্জিরা স্কুল ড্রেস সাপ্লাই দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারেনি। শিশুদের ব্যাগে থাকবে বই-খাতা-কলম, কিন্তু সেখানে চাইনিজ কুড়াল, পাথর কেন? সেসব বুড়া হাবড়াদের গ্রেফতার করলে কেন হাহাকার? বড় বড় লেখক-সাংবাদিকরা কী সেটা দেখবেন না, লিখবেন না? তাদের কলমের কালি কী ফুরিয়ে গেলো?’
পাকিস্তানি চিন্তাচেতনায় বিশ্বাসীরা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দামি দামি লেখক-সাংবাদিকরা অপরাধ করলে তাদের অপরাধ কী কারণে অপরাধ নয়? লেখার স্বাধীনতা আছে। কিন্তু লেখার মাধ্যমে দামি লেখক-সাংবাদিকরা দেশটাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলেন, সে উপলব্ধি কি তাদের থাকবে না? উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে অন্যায় হয়ে যাবে? যে যত বড় হোক না কেন, অন্যায় করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া রাষ্ট্রের কর্তব্য বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং এখনো চক্রান্ত করে যাচ্ছে, তাদের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। কারণ, তারা নিজেরা ভালো থাকতে চায়, বাংলাদেশের কল্যাণ দেখতে চায় না। তাদের অর্থের উৎস কোথায়? তারা কিছু হলেই আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে কথা। কারণ, যখন বাংলাদেশের অসাংবিধানিক সরকার থাকে, তখন তাদের কাছে এসব লোকদের কদর বাড়ে। এরা সুযোগসন্ধানী। এদের মধ্যে পাকিস্তানিদের পদলেহনের মনোভাব রয়ে গেছে।’
১৫ আগস্টের হত্যকান্ডের বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘পাহাড়সম জনয়তাই বঙ্গবন্ধুর জন্য কাল হয়েছিল। স্বাধীনতার পর থেকে মিথ্যা অপ্রপ্রচার শুরু হয়েছিল। বিবিসিতে সাংবাদিক এন্থনি ম্যাসকারেনহাসের সাক্ষাতকারে খুনি কর্ণেল ফারুক-রশিদরা বলেছিল, শেখ মুজিব এত বেশি জনপ্রিয়, শত চেষ্টা করেও তার জনপ্রিয়তা কমানো যায়নি। যার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্র দিয়েছে বলে অনেকে জিয়াউর রহমানকে বাহবা দেয়ার চেষ্টা করেছে। আমার প্রশ্ন, জিয়াউর রহমান কিভাবে ক্ষমতায় এসেছিলেন? অস্ত্রের মুখে বিচারপতি সায়েমকে হটিয়ে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করলেন। পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন তিনি। গুম আর হত্যা করাই তো ছিল জিয়ার কাজ। হাজার হাজার সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছেন তিনি। সংবিধান লঙ্ঘন করে যে রাষ্ট্রপতি হয়, সে গণতন্ত্রের প্রবক্তা হয় কী করে?’
তিনি বলেন, ‘জিয়া রাষ্ট্রপতি হয়ে ঘোষণা দিলো, আমরা দুই বোন যেন কোনোদিন দেশে ফিরতে না পারি। কারণ আমি ও আমার বোন শেখ রেহেনা দেশে ফিরে রাজনীতিতে দাঁড়ালে আওয়ামী লীগ আবার ঘুরে দাঁড়াবে, আর এতে তাদের (জিয়াউর রহমান) রাজনৈতিক ক্ষতি হবে। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ আমাকে সভাপতি নির্বাচন করে। এরপর আমি দেশে ফিরে আসি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।