পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারি, গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তিসহ পাঁচ দফা দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। দাবি মেনে নিতে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছেন তারা। গতকাল (মঙ্গলবার) বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহŸায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ছাত্র সমাজ মনে করে ৫ দফার আলোকে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার হলে ছাত্র সমাজ তথা সকলের কাছে অধিকতর যুক্তিসংগত হবে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ৪ বার আলোচনা করেও কোন ধরনের কাজ না করে নির্যাতন-নিপীড়ন দমন পীড়নের কারণে সরকারের প্রতি শিক্ষার্থীদের মনে বিরাট অনাস্থা ও সংশয় তৈরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ছাত্র সমাজ আরও মনে করে, কোটা সমস্যা সমাধানে বারবার কোর্টের একটি পর্যবেক্ষণকে অজুহাত হিসেবে সামনে আনার বিষয়টি কেবল নতুন করে কালক্ষেপণের একটি পন্থা। অবিলম্বে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিয়ে সরকারের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দলের আলোচনা করা দরকার বলে মনে করেন তিনি। ৩১ আগস্টের মধ্যে দাবি না মানলে আবারো সারাদেশে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে জানিয়ে ইয়ামিন বলেন, সরকার যদি মনে করে নিপীড়ন ও নির্যাতন করে এই আন্দোলন দাবিয়ে রাখতে পারবেন তাহলে ভুল ভাবছেন। ছাত্র আন্দোলন একটি ভ‚মিকম্পের মতো। ভ‚মিকম্পের উৎপত্তি কিভাবে হবে আর কোন জায়গা থেকে হবে কেউ সেটা জানে না। ঠিক তেমনি ছাত্র আন্দোলনের উৎপত্তি কিভাবে হয় ও এটা কতটা তীব্র প্রভাব ফেলতে পারে সেটাও কেউ বুঝতে পারে না। আমরা এখন পর্যন্ত শান্তিপ‚র্ণ ও অহিংস আন্দোলন করেছি। আপনারা আমাদের ওপর নির্যাতন করেছেন। তিনি বলেন, আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে যদি কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারি ও আমাদের সহকর্মীদের মুক্তি দেয়াসহ ৫ দফার বাস্তবায়ন না হয় তাহলে আমরা আবারো রাস্তায় নামতে বাধ্য হবো। তখন কোনো আশ্বাস আমাদের আন্দোলনকে শান্ত করতে পারবে না।
সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে ৫টি দাবিদাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। সেগুলো হলো- সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত নিয়োগে বিদ্যমান বৈষম্যম‚লক কোটা হ্রাস করে ১০ শতাংশে নিয়ে আসা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধা তালিকা থেকে নিয়োগ দেয়া, একই পরিবারকে কোটার সুবিধা একাধিকবার না দেওয়া, কোটায় কোন বিশেষ নিয়োগ না দেওয়া ও সকলের জন্য অভিন্ন বয়সসীমা।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।