পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, এ দেশের মাটি স্বৈরাচারের জন্য নয়। এ মাটির মালিক জনগণ। তিনি বলেন, সংঘবদ্ধ যদি হন তাহলে কোন শক্তি আপনাদের পরাজিত করতে পারবে না, ইনশাল্লাহ। ঐক্যবদ্ধ হোন। অনেক লোভ দেখাবে, কাজে দেবে না। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে গণফোরাম ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, বাঙালীর একটা বৈশিষ্ট্য আছে- তারা অন্যায়ের কাছে কখনও মাথা নত করবে না। এটা বঙ্গবন্ধুও বলেছিলেন যে, অন্যায়কে যারা অন্যায় বলে চিহ্নিত করতে পেরেছে, তারা কখনও তাকে মাথা পেতে নেবে না। আমি হাড্রেট পারসেন্ট কনফার্ম- এদেশকে কেউ দাস করে রাখতে পারবে না। এটা বঙ্গবন্ধুর কথা।
গণফোরাম সভাপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের দেশের মালিক বানিয়ে গেছেন। কেউ আমাদের বঞ্চিত করতে পারবে না। কেউ লোভ দেখাবে, জমি দেবে ; কিন্তু লাভ হবে না। যারা এ ধরণের চেষ্টা করবে মানুষ তাদের একটা শিক্ষা দেবে। বঙ্গবন্ধু আপোষ করেননি। আমরাও ইনশাল্লাহ আপোষ করব না। তিনি বলেন, লোভের কাছে মাথা নত করেননি বলেই বঙ্গবন্ধু ,তাজউদ্দিনকে জীবন দিতে হয়েছে।
আলোচনা সভায় আরো বক্তৃতা করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম। তিনি বলেন, জগদ্দল পাথরকে বুকের ওপর থেকে সড়াতে হবে। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম গণতেন্ত্রর জন্য। দেশের মানুষের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য। দেশে এখন স্বাভাবিক মৃত্যুর কোন গ্যারান্টি নেই। তিনি বলেন, ছাত্ররা যদি সরকারে চোখ খুলে দিয়ে থাকে তাহলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কেন জেলে থাকতে হবে? অবিলম্বে তাদের মুক্তি দেয়ার আহবান জানান তিনি।
আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু। বক্তব্য রাখেন গণফোরামের নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ডাকসু’র সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ, গণফোরামের নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক, অধ্যাপিকা বিলকিস বানু, অ্যাডভোকেট খালেকুজ্জামান, মোশতাক আহমেদ প্রমুখ।
ছাত্রদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন বন্ধ করুন:
জুলুম নির্যাতনের পথ পরিহার করে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে গ্রেফতার করা ছাত্রদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ। তারা গ্রেফতার হওয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ জন ছাত্র, আলোকচিত্রী শিল্পী শহীদুল আলম, অভিনেত্রী নওশাবার অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেন। গতকাল বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সভায় তারা এআহবান জানান। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও জোট সমন্বয়ক সাইফুল হকের সভপতিত্বে অস্থায়ী কার্যালয় মুক্তিভবনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিবি’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আলম, বাসদ কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু ও সম্পাদকম-লীল সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার।
গত কয়েক দিন ধরে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর পরিচালিত হামলা, নির্যাতন, গ্রেফতারের উদ্বেগ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ সভায় চট্টগ্রামে ৫৭ ধারায় ছাত্র ফেডারেশন নেতা মারুফ হোসেন ও আজিজুর রহমানের গ্রেফতার, ছাত্র ইউনিয়ন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ্যানি সেনের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ফ্রন্ট নেতা সোহায়েল আহমেদ শুভ, জাহিদ হোসেন রনি ও ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মোর্শেদ হালিমের ওপর ছাত্রলীগের নির্যাতন, বাড্ডায় বাসদ নেতা আহসান হাবীব বুলবুল ও খায়রুল ইসলামের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের নির্যাতন এবং ঢাকাসহ সারা দেশে নাম না-জানা শত শত আন্দোলনকারীর ওপর পুলিশ ও হেলমেট বাহিনীর আক্রমণ-হামলার তীব্র নিন্দা জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।