পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মোবাইল ফোনের নতুন কলরেট চার্জ কার্যকর হয়েছে আজ রাত ১২টা থেকেই। নতুন কলরেট অনুযায়ী বেড়েছে অননেটে (একই অপারেটরের নম্বরে কথা বলা) কথা বলার খরচ। অন্যদিকে কমে এসেছে অফনেট (এক অপারেটরের নম্বর থেকে অন্য অপারেটরের নম্বরে কথা বলা) কলরেট। অভিন্ন পদ্ধতিতে চালু হওয়া এই কলরেট নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা এবং সর্বোচ্চ ২টাকা। এরফলে আগে একই অপারেটরের নম্বরে ২৫ পয়সা কথা বলার যে সুযোগ দেয়া হতো সেটি আর থাকছে না। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, এখন থেকে আর মোবাইল ফোনে কথা বলার ক্ষেত্রে অফনেট ও অননেট সুবিধা থাকছে না। কলরেটের নতুন সীমা সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা। আর সর্বোচ্চ সীমা ২ টাকা। তিনি জানান, ১৪ তারিখ থেকে নতুন কলরেট কার্যকরের কথা বলা হয়েছে।
বিটিআরসি সূত্রে জানা যায়, দেশে দুই ধরনের কলরেট চালু ছিল, অননেট ও অফনেট। অননেট হলো একই মোবাইল নেটওয়ার্কে কল করার (কথা বলার) পদ্ধতি এবং অফনেট কল হলো এক নেটওয়ার্ক থেকে অন্য নেটওয়ার্কে ফোন করা। নতুন নিয়মে এই অননেট ও অফনেটের কলরেট পদ্ধতি আর থাকছে না। গত জুলাইয়ের শেষ দিকে অফনেট বা অননেট তুলে দিয়ে যেকোনো অপারেটরে কথা বলার খরচ প্রতি মিনিট সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা করার সিদ্ধান্ত হয়। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের উপস্থিতিতে এক বৈঠকে অভিন্ন কলরেট নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের এই সিদ্ধান্তের পর তা কার্যকর করতে উদ্যোগ গ্রহণ করে বিটিআরসি। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয় ১৪ আগস্ট থেকে নতুন কলরেট কার্যকর করা হবে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সব মোবাইল অপারেটরকে চিঠিও দেয় বিটিআরসি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ি আজ থেকেই সেই কলরেট চালু হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৪৫ পয়সা হলো নতুন কলরেটের ফ্লোর প্রাইস (ইউনিফায়েড ফ্লোর প্রাইস)। এই রেটের কমে কোনও মোবাইল নম্বরে কল করা যাবে না। তবে মোবাইল ফোন অপারেটররা তাদের পছন্দমতো রেট সাজিয়ে নতুন কলরেট গ্রাহকদের অফার করতে পারবে। কলরেটের সর্বোচ্চ সীমা হবে ২ টাকা, যা আগেও ছিল। কোনও অপারেটর গ্রাহকের কাছ থেকে প্রতি মিনিটের কলের জন্য ২ টাকার বেশি চার্জ করতে পারবে না।
যদিও এই সিদ্ধান্তের পর থেকেই সর্বনিম্ন কলরেট নিয়ে কিছুটা অসন্তোষ ছিল। বিটিআরসি ও অপারেটরদের তথ্য অনুযায়ি এর আগে বিটিআরসির নির্ধারণ করে দেওয়া সর্বনিম্ন অননেট চার্জ প্রতি মিনিট ২৫ পয়সা ও অফনেট ৬০ পয়সা। সর্বোচ্চ চার্জ প্রতি মিনিটে ২ টাকা। মোবাইল ফোন অপারেটররা এই সীমার মধ্যে থেকে নিজেদের অপারেটরের চার্জ নির্ধারণ করেছে। ফলে একেক অপারেটরের চার্জ ছিল একেক রকম। কিন্তু নতুন কলরেটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন অননেটে কথা বলা গ্রাহকরা। আগে তারা যেখানে প্রতি মিনিট অননেটে কথা বলতে পারতেন সর্বনিম্ন ২৫ পয়সা মিনিটে। এখন সেটি ২০ পয়সা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪৫ পয়সা। তবে অফনেটের সর্বনিম্ন রেটে ১৫ পয়সা কমানো হয়েছে। কিন্তু সর্বোচ্চ কলরেট আগের মতো ২ টাকায় রাখা হয়েছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অভিন্ন কলরেট নির্ধারণের ফলে গ্রাহক স্বস্তি পাবে। তবে সর্বনিম্ন খরচ একটু বেশি হয়ে গেছে আর সে কারণে মোবাইল ফোন ব্যবহারের গ্রাহকের সামগ্রিক খরচ আগের চেয়ে বাড়তে পারে যা অপারেটরদের আয় বাড়াতে সাহায্য করবে। তারা বলছেন, আগে ২৫ পয়সা সর্বনিম্ন রেট থাকলেও অননেটের জন্যে গড় কল খরচ ছিল ৪৯ পয়সা। আর দেশের মোট ভয়েস কলের সিংহভাগই অননেটের কল ছিল। আবার অফনেটে ৬০ পয়সা সর্বনিম্ন হলেও অপারেটররা গড়ে চার্জ করতো ৯১ পয়সা। এখন দুটি মিলিয়ে ৪৫ পয়সা করা হলেও গ্রাহককে এর চেয়ে অনেক বেশি গুনতে হবে বলেও মনে করছেন তারা। দেশে মোবাইল নাম্বার পোর্টাবিলিটি (এমএনপি) সেবা চালু হলে অননেট ও অফনেটের আলাদা কলরেট বাজারে অসম প্রতিযোগিতা তৈরি করতে পারে সেই আশঙ্কা দ‚র করতেই অভিন্ন কলরেট করা হচ্ছে বলে জানান তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।