পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ঘরে পাপী থাকলে লক্ষী পালিয়ে যায়। এজন্য বিএনপি-জামায়াতের মতো পাপীদের দেশ থেকে বিতাড়িত করে শান্তি আনতে হবে।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনায় তিনি বলেন, খুন, ধর্ষণ, মিথ্যা বলা পাপ। বিএনপি-জামায়াত ও তাদের শরিক দলগুলো ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে এসব করেছে। এজন্য তাদের বিতাড়িত করে দেশের পাপমোচন করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারের মধ্যে স্বাধীনতাবিরোধীরা ঘাপটি মেরে আছে। তাদের চিহ্নিত করতে হবে। একইসঙ্গে রাজাকারদের তালিকা করতে হবে।
শাজাহান খান বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। উনাকে বলেছি রাজাকারদের তালিকা তৈরি করতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধী যারা আছে তাদের সন্তানদের চাকরি যাতে না হয়, সেজন্য আমি একটি ৬ দফা প্রস্তাব দিয়েছি। কারণ একজন সরকারি উচ্চপদের কর্মকর্তা অনেক কিছু করতে পারেন। যদি রাজাকারের সন্তানেরা চাকরি পায় তাহলে তারা সরকারি অফিসে বসে বসে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কাজ করবে। স্বাধীনতা নস্যাৎ করার জন্য কাজ করবে।
সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেনকে প্রশ্ন করে শাজাহান খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবদান ভুলে যান কেন? তিনি বলেন, আমার পিতৃতুল্য ড. কামাল হোসেন। তিনিও দেখি আজকে উল্টো কথা বলছেন। ভুলে গেছেন বঙ্গবন্ধু আপনাকে পাকিস্তান থেকে নিয়ে এসে মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। আমার প্রশ্ন হলো বঙ্গবন্ধুর অবদান ভুলে যান কেন? সত্য যারা ভুলে যায় ইতিহাস কিন্তু তাদের শিক্ষা দেয়।’
শাজাহান খান বলেন, ১/১১’র কুশীলবরা আজকে নানা কথা বলছেন। আমি কয়েকজনের কথা বলতে চাই। মাহমুদুর রহমান সাহেব, তিনি একজন সাংবাদিক। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কি লেখেন? কত ঔদ্ধত্য লেখা, বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে এ ধরনের লেখা তিনি কীভাবে লেখেন? বি চৌধুরীর মতো একজন মানুষ, যিনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন, তিনি কি বললেন? বি চৌধুরী বলেছেন, তার কাছে নাকি বিএনপির কিছু নেতাকর্মী যান, যাদের বুক কাঁপে। যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তাহলে তাদের কি হবে? আবার নাকি আওয়ামী লীগেরও কিছু কর্মী তার কাছে যান যাদেরও বুক কাঁপে। কারণ বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাদের কী হবে এই ভয়ে। তিনি এমন একটি শক্তির কথা বলছেন যারা নাকি দুদলকেই সামাল দিতে পারবে। নৌমন্ত্রী বলেন, ভিত্তিহীন কিছু মানুষ তৃতীয় শক্তির কথা বলছেন।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন– জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক কমান্ডের সভাপতি শামসুদ্দিন আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি জিহাদুর রহমান জিহাদ প্রমুখ।####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।