পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হবেন, তাদের জন্য সুন্দর আবাসনের ব্যবস্থা করতে সুপারিশ করেছে সংসদ কমিটি। একই সাথে সংসদ সদস্য ভবনে (ন্যাম ফ্ল্যাট) যারা বরাদ্দ নিয়ে থাকেন না, এমন এমপিদের ফ্ল্যাট ছেড়ে দিতে তাগিদ দিয়েছে কমিটি।
দীর্ঘদিন ধরে সংসদ সদস্য ভবনে ফ্ল্যাট বরাদ্দ নিলেও অনেক সংসদ সদস্য নিজেরা থাকেন না। ওই ফ্ল্যাটে তাদের গাড়িচালক, ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের রাখেন। এই অবস্থা চলার মধ্যে গত বছরের মে মাসে সংসদ কমিটি একজন মন্ত্রীসহ ৩০ জন সংসদ সদস্যকে সংসদ সদস্য ভবনের ফ্ল্যাট ছাড়তে চিঠি দিয়েছিল, তবে সাড়া মাত্র মিলেছিল চারজনের। গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদ সদস্যদের আবাসন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করে যাওয়া সংসদ কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয় বলে সংসদ সচিবালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ ইনকিলাবকে বলেন,এই সংসদের মেয়াদ আর বেশি দিন নেই। পরে যারা নির্বাচিত হবেন, তারা যাতে সুষ্ঠুভাবে থাকতে পারেন সেজন্য যেসব এমপি সাহেব ফ্ল্যাটে থাকেন না, তাদের ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে, যাতে ফ্ল্যাটগুলোর সংস্কার কাজ এগিয়ে রাখা যায়। এখনও কতজন সংসদ সদস্য ফ্ল্যাট ছাড়েননি- জানতে চাইলে ফিরোজ বলেন, যাদের আমরা একসময় চিঠি দিয়েছিলাম তাদের মধ্যে মোটামুটি ৬০ ভাগ এমপি ফ্ল্যাট ছেড়ে দিয়েছেন। আর সব মিলিয়ে নিয়মিত থাকেন না এমন এমপি ৩০-৪০ জন হবে।
তিনি বলেন, গত বছরের ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এ সিদ্ধান্ত। অনেকেই আসলে এখানে থাকেন কম। সেজন্যই বলা হয়েছে, যদি প্রয়োজন না হয়, তবে ছেড়ে দিলে আমরা সংস্কার কাজ শুরু করতে পারি। গত বছর সংসদ সদস্যদের বসবাসের জন্য রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ ও নাখালপাড়ায় ১০টি ভবনে ২৯২টি ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয় সংসদ সচিবালয়। সংসদ কমিটির প্রাথমিক তালিকায় ৯১টি ফ্ল্যাটে সংসদ সদস্যদের অবস্থান না করার বিষয়টি উঠে আসে। পরে যাচাই-বাছাই করে ৩০ জনের মতো এমপিকে ফ্ল্যাট বরাদ্দ বাতিলের নোটিস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। যে সংসদ সদস্যরা তাদের বরাদ্দকৃত ফ্ল্যাটে থাকেন না, তাদের বরাদ্দ বাতিলের হুঁশিয়ারি আসে গত বছরের ১৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক অনুষ্ঠান থেকে। এরপর বিষয়টি নিয়ে তোড়জোড় শুরু করে সংসদ কমিটি। এক পর্যায়ে তদন্ত চলছে মর্মে প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করে কমিটি।
সংসদ সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে সংসদ সদস্যদের কাছে আসা অতিথিদের সঠিকভাবে তল্লাশি করে প্রবেশের অনুমতি প্রদান এবং নির্ধারিত ব্যক্তির সাথে আগত অতিথি দেখা করছেন কিনা সে বিষয়টি নিরাপত্তা কর্মীদের মাধ্যমে নিশ্চিত করার ওপর জোর দিতে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্ব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, নূর-ই-আলম চৌধুরী, মাহাবুব আরা বেগম গিনি, পঞ্চানন বিশ্বাস, তালুকদার মো. ইউনুস ও নাজমুল হক প্রধান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।