পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘স্বৈরশাসন দেশকে শেষ করে দিচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহবাৃয়ক সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেছেন, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হই তাহলে স্বৈরশাসনকে বিদায় নিতে হবে বা দেশ ছাড়তে হবে। তা না হলে আমাদের সাথে একমত হতে হবে। এ ব্যাপারে গ্যারান্টিও দিতে পারি। তিনি বিভিন্ন ঘটনার উদাহরণ টেনে বলেন, অন্যায় কোনদিন এদেশর জনগণ মেনে নেয়নি। তারা পরিবর্তন আনেই। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার উদ্যোগে ‘কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দেশের মালিক জনগণের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীব ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, এদেশ আমাদের। যে স্বপ্ন নিয়ে ’৭১ এ যুদ্ধ করেছিলাম তা বাস্তবায়ন সম্ভব। ৭১’এ কেউ কি ভেবেছিল যে আমরা ৯ মাসে স্বাধীন হব। এখন বলা হচ্ছে স্বৈরশাসন আমাদের শেষ করে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু জনগণকে উপেক্ষা করে গণতন্ত্র হয় না। তিনি ঐক্য প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্তদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গণতন্ত্র রক্ষায় ব্যক্তি বিশেষের ওপর নির্ভর করলে চলবে না। সকলকে একজোট হতে হবে।
শিক্ষার্থীদের সড়ক নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলনের উদাহরণ তুলে দরে কামাল হোসেন, ছাত্রছাত্রীরা দেখিয়ে দিয়ে কিভাবে দেশ চালাতে হয়। এদেশ কোন ব্যক্তি গোষ্ঠী পরিবারের নয়। দেশের মালিক জনগণ। আমরা সবাই দেশের মালিক। তাই গণতন্ত্র রক্ষায় দেশের মালিককে সারা দেশে প্রচার প্রচাণায় নামতে হবে। স্বৈরশাসক দেশ ধ্বংস করছে। দেশ রক্ষায় জনগণকেই ঐকবদ্ধ হতে হবে। উদ্যোগ জনগণকেই নিতে হবে।
ড. কামাল হোসেন ঐক্য প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত সকলকে ঈদের ছুটিতে সমমনাদের কাছে যেতে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ২০০৮’এ এই জাতি ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। তাই আবারও ঘুরে দাড়াবে এজাতি। সবাই নিজেকে দেশের মালিক হিসাবে মূল্যায়ন করার পরামর্শ দেন তিনি। যে যতটুকু পারে এবং নিজ নিজ অবস্থান থেকে সকলকে দেশ রক্ষার উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান তিনি। জনগণকে বোঝানোর দায়িত্ব নিতে বলেন তিনি। কোন ব্যক্তির ওপর ভর না করতে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, দেশকে আইনের পথে নিয়ে আসার ব্যাপারে সবাইকে বোঝাতে হবে। আর যারা উল্টো পথে আছে তাদের থেকে মুক্ত করার ব্যাপারে জনগণকে বোঝাতে তিনি ঐক্য প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্তদের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, এধরণের কাজে অবশ্যই সাড়া পাওয়া যাবে।
ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, হালুয়া রুটির ভাগের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেনি দেশবাসী। অধিকার আদায়ের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছে। জনগণকে কথা বলতে দিতে হবে। জনগণ কথা বললে কোনো ধরণের গুজব সৃষ্টি হবে না। জনগণকে পুলিশ দিয়ে দমানো যাবে না। সড়ক নিরাপত্তার জন্যও গণতন্ত্র দরকার। সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ফজলুর রহমান বলেন, প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আসুন সবাই ঐকবদ্ধ হই। কার কোন দল তা এখন বাদ। ঘরে আগুন লেগেছে তাই আগে তা নেভাতে হবে।
এছাড়াও আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ.ব.ম. মোস্তফা আমীন, গণফোরাম নেতা মোশতাক আহমেদ, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুণ চৌধুরী, প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহবুব হোসেন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।