রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসে গ্রাহকদের হয়রানী ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অফিসের লোকজন ও মধ্যস্বত্বভোগী দালাল চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে গ্রাহকরা। এ চক্রের গ্যাঁড়াকলে আটকে সাধারণ মানুষকে গুনতে হচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
পাঁচবিবি পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে অনলাইনে আবেদন করে ওয়ারিংয়ের রিপোসহ অফিসে ১০০ টাকা ফি জমা দিয়ে হবে। তদন্ত করার পর মিটার বাবদ ৪০০ টাকা ও সদস্য ফি বাবদ ৫০ টাকা জমা দিতে হবে। পল্লীবিদ্যুতের নিজস্ব অর্থায়নে এলাকায় লাইন জরিপ, বৈদ্যুৎতিক লাইনের খুঁটিসহ সংযোগ দেয়ার লাইন স্থাপনের কাজ করবে।
গ্রাহকদের অভিযোগ বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে আবেদন করে মাসের পর মাস অফিসে ধরনা দিয়েও কাজ হয়না। অফিসের সাথে সংশ্লিষ্ঠ দালালদের টাকা দিলে দ্রæত বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে প্রতি গ্রাহককে পাঁচ হাজার থেকে দশ হাজার টাকা দিতে হয়।
গ্রাহকরা আরো বলেন, টাকা ছাড়া ফাইল নড়ে না। গোটা অফিস বেপরোয়া। ন্যূনতম সেবা পাওয়া দুষ্কর। তাছাড়া অফিসের লোকজন গ্রাহকদের সাথে প্রায় খারাপ আচরণ করে।
এদিকে নতুন সংযোগ দেয়ার নাম করে উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামে ৪০টি বাড়ি থেকে ৮০ হাজার টাকা নিয়েছে স্থানীয় দালাল চক্র। প্রতিবাদ করায় এবং টাকা না দেয়ায় দুটি বাড়িতে ড্রপ তার লাগানো হয়নি। যেসব পরিবার টাকা দেয়নি সেসব পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগ পাবে না বলে হুমকিও দিচ্ছে দালালচক্র।
মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বেড়াখাই গ্রামের গ্রাহক নাজমুল হক সবুর জানান, গত তিন মাস ধরে ভ‚তুড়ে বিল আসছে। প্রতি মাসে অতিরিক্ত এক হাজার টাকা করে বেশি বিল পরিশোধ করছি। দুই মাস আগে মিটার পরীক্ষার জন্য ২০০ টাকা ফি দিয়ে আবেদন করেছি। ১০ কিলোমিটার দূর থেকে আটবার অফিসে গিয়েছি কাজ হয়নি। অফিসের লোকজন আমাদের মানুষ মনে করে না। তিনি আপেক্ষা করতে বলেন, এক বছর আগে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছিল। তিনি আরো বলেন বেড়াখাই গ্রামের মোড়ে কয়েকটি দোকানে দ্রæত বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে দালাল চক্র টাকা দাবি করে। টাকা না দেয়ায় সবকিছু ঠিকঠাক থাকার পরও ওই দোকানগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হচ্ছে না। দালালচক্রের সাথে বিদ্যুৎ অফিসের অসাধু লোকজন জড়িত।
পাঁচবিবি জোনাল অফিসের ডিজিএম গোবিন্দ চন্দ্র দাসের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অফিসের কেউ জড়িত থাকলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।