বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা : বাগেরহাটের মংলায় চাঞ্চল্যকর যুবদল নেতা আব্দুল হালিম তালুকদার হত্যা মামলায় এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাটের দায়রা জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান খান এই রায় দেন।
আদালত একই সাথে দণ্ডপ্রাপ্ত মো. নূরুজ্জামানকে যাবজ্জীবন সাজাসহ ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত মো. নূরুজ্জামান বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের বর্ণি গ্রামের আব্দুল জলিল মাস্টারের ছেলে। মামলা চলাকালে জামিনে মুক্তির পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
মংলা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মংলা পৌর মেয়র জুলফিকার আলী জানান, নিহত আব্দুল হালিম তালুকদার (৪০) মংলা পৌর যুব দলের সভাপতি ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাতে মংলা শহরের রিমঝিম সিনেমা হলের পেছনে মংলা পৌরসভার কবরস্থান রোডের মরহুম নূর মোহাম্মদ তালুকদারের ছেলে বিএনপি নেতা আব্দুল হালিম তালুকদারসহ কয়েকজন ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন। এসময় দুটি রিকশা যোগে চারজন খেলার মাঠে এসে যৌথ বাহিনী পরিচয়ে হালিমকে ডাক দেয়। হালিম খেলা বন্ধ করে তাদের দিকে এগিয়ে গেলে আসামী নূরুজ্জামান তার কাছে থাকা অস্ত্র দিয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করে।
পরে স্থানীয়রা নূরুজ্জামানকে ধাওয়া করে অস্ত্র ও গুলিসহ ধরে যৌথ বাহিনীর কাছে সোপর্দ করে। ঘটনার পর দিন ১৬ ডিসেম্বর নিহতের ভাই মোজাম্মেল হোসেন তালুকদার বাদী হয়ে নূরুজ্জামানসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে মংলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাগেরহাট জেলা সিআইডি পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম জোয়াদ্দার ২০০৮ সালের ১৮ মে তদন্ত শেষে ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১১ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন শাখা -১ এর (স্মারক নং - স্বম (আইন ১) প্রত্যাহার ১২/১০ (২৩ তম সভা)/৬২০৩) এক সভার সিদ্ধান্তে মামলার আসামীদের অব্যাহতি দিতে আদালতের কাছে আবেদন করে। মামলা চলাকালে আদালত ওই আবেদনটি আমলে নিয়ে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তি দেওয়া আসামী নূরুজ্জামান বাদে অন্যদের অব্যাহতির বিষয়টি বিবেচনায় নেয় বিচার কাজ শুরু করে।
মামলার ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আসামী নুরুজ্জামানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বাগেরহাট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর শেখ মোহাম্মদ আলী এবং আসামী পক্ষে ছিলেন অজিয়ার রহমান পিকলু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।