পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কোমরে দড়ি দিয়ে রিমান্ডে নেয়া জাতির জন্য লজ্জার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ২২ শিক্ষার্থীকে কোমরে দড়ি লাগিয়ে রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে। এ যেন গোটা ছাত্রসমাজের কোমরে দড়ি বেঁধে টেনে নেয়া হচ্ছে। এটি জাতির জন্য শুধু লজ্জার নয়, এ দৃশ্য দেখে মানুষ ধিক্কার জানাচ্ছে।
‘সরকার কতটা নিষ্ঠুর-নির্মম হতে পারে যে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের ন্যায্য আন্দোলনের দাবি দমন করতে তাদের গ্রেফতার করে পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি ও কোমরে দড়ি দিয়ে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে কতটা নির্মমতার পথ বেছে নিতে পারে, এটি তার একটি নিকৃষ্ট উদাহরণ।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, শিক্ষার্থীরা তো কোনো অন্যায় করেনি। নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। এমন ন্যক্কারজনক দৃশ্যের নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই। অবিলম্বে তাদের রিমান্ড বাতিল করে মুক্তি দিতে হবে। গতকাল মঙ্গলবারও চলমান ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ বের করে দিয়েছে বলে জানান তিনি।
ছাত্রলীগকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি-ফ্যাক্টো কর্তৃপক্ষ মন্তব্য করে রিজভী বলেন, তাদের কথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ওঠেবসে। সে জন্যই ছাত্রলীগের হুকুমেই তামিল করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ছাত্রলীগের কারণেই সেখানে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কোনো নিরাপত্তা নেই।
‘তবে সর্বব্যাপী নিপীড়নের বিরুদ্ধে ছাত্ররা প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। তাদের দমিয়ে রাখা যাবে না। ন্যায্য দাবির আন্দোলনে তারা বিজযী হবেই,’ যোগ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, চলমান ছাত্র আন্দোলন সরকারি সহিংসতার ছোবলে রক্তাক্ত। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে না নিয়ে এখন অবলম্বন করা হয়েছে নির্যাতনের পথ। দেখানো হচ্ছে নানা ধরনের নাটক ও প্রহসন। আন্দোলন শুরু হওয়ার দুদিন পর ওবায়দুল কাদের সাহেব বললেন, এবার মাঠে নামবে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগকে তো মাঠে নামানো হলো কী কারণে, তার নমুনা তো সারা দেশবাসী দেখল। নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের সশস্ত্র হামলা করতে ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা করতেই তাদের নামনো হয়েছিল। রক্তাক্ত শরীরে ভয়ার্ত আর্তনাদে ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে কোমলমতি শিক্ষার্থী আর সাংবাদিকদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।