Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা ফুল বাণিজ্য

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

ফুল ব্যবহারের চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে প্রতিবছর সারা পৃথিবীতে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ফুলের চাহিদা রয়েছে এবং পৃথিবীর ১৪৫টি দেশ ফুল উৎপাদন ও বাণিজ্যিক চাষাবাদের সঙ্গে জড়িত। ফুলের বৈশ্বিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবদান মাত্র শূণ্য দশমিক ৩ শতাংশ থেকে শূণ্য দশমিক ৫ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশের ফুল রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে উক্ত অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ফুল রফতানি হয়েছে।
বাংলাদেশে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ফুলের চাষাবাদ হয় এবং এ খাতের সাথে প্রায় ২ লাখ লোক প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত। ফুলের চাষাবাদসহ এ খাতের সার্বিক উন্নয়নে উদ্যোক্তাদের স্বল্পসুদে ঋণ সুবিধা প্রদান, নতুন নতুন চাষাবাদ পদ্ধতি বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ, কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ, এয়ারকন্ডিশন সুবিধাসংবলিত পণ্য পরিবহন ব্যবস্থার প্রসারসহ এ খাতকে শিল্প হিসেবে ঘোষণার দাবি সংশ্লিষ্টদের।
এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোতে জলাবায়ু এবং মাটির গুণাগুণ অনুযায়ী বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষাবাদ এ অঞ্চলের দেশগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। যার মাধ্যমে ফুল চাষাবাদ, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বাজারজাতকরণ কার্যক্রম স¤প্রসারিত হবে। বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষাবাদের ক্ষেত্রে এশিয়ার দেশসমূহের মধ্যে ভিয়েতনাম উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। বর্তমানে প্রতিবছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২৬ বিলিয়ন ডলার এবং চীন ২৩ বিলিয়ন ডলারের ফুল রপ্তানি করে থাকে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সারা পৃথিবীতে ফুলের বাজারের পরিমাণ হবে প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশকে এ সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য এখনই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাণিজ্য

২৮ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ