বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার শেরপুর গ্রামে আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৪ পুলিশসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে ২১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষের সময় শেরপুর গ্রামের মনোয়ার হোসেন, উম্মাদ, শরিফুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেনসহ ৬ জনের বাড়ি ভাঙচুর ও একটি পোল্ট্রি খামার লুট হয়েছে।
শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তোজাম্মেল হক জানান, মির্জাপুর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোবারক শেখ ও প্রতিপক্ষ মাখন হোসেনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার ও জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
এর জের ধরে আজ সকালে উভয় দলের কর্মী সমর্থকরা অস্ত্র-সস্ত্র ঢাল, ফালা, রাম দা, বল্লব ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২১ রাউন্ড রাবার ও শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে এ এস, আই সুনীল, কনস্টেবল মনজিল, কনস্টেবল মইন, কনস্টেবল মাজহার এবং গ্রামবাসীর মধ্যে শাহাদ হোসেন, জহুরা খাতুন, লিলি বেগম, সখেলা খাতুন, শাহেব আলী, আনোয়ার হোসেন, সাবু, আব্দুল আলীমসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতরা শৈলকুপা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আনোয়ার হোসেনের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বর্তমানে শেলপুর গ্রামের পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভদ্রডাঙ্গি গ্রামে আবার নতুন করে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে।
সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।ঝিনাইদহের সহকারী পুলিশ সুপার গোপীনাথ কানজিলাল বর্তমান সংঘর্ষস্থলে উপস্থিত রয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।