পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইংরেজি দৈনিক ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সদ্য মৃত্যুবরণকারী সম্পাদক এ এইচ এম মোয়াজ্জেম হোসেন পুরোপুরি পেশপাদার ও পরিশুদ্ধ সাংবাদিক ছিলেন। সততা, নৈতিকতার সাথে সম্পূর্ন পক্ষপাতহীনভাবে সবসময় দায়িত্ব পালন করেছেন। আর অর্থনীতির সাংবাদিকতায় তিনি শুধু পুরোধা ছিলেন না, ছিলেন পথিকৃতও। মোয়াজ্জেম হোসেনের স্মরনে তারই প্রতিষ্ঠিত ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত এক স্মরন সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
ইআরএফ দেশের অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের একমাত্র সংগঠন। দুই যুগ আগে মোয়াজ্জেম হোসেনসহ আরও কয়েকজনের উদ্যোগেই এ সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
গতকাল শনিবার রাজধানীর নয়া পল্টনে ইআএফের নিজস্ব কার্যালয়ে এ স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান। এছাড়া বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বিশেষ অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানে ইআরএফের সদস্য এবং ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের মোয়াজ্জেম হোসেনের সহকর্মীরা স্মৃতিচারণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে মোয়াজ্জেম হোসেনের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে মোয়াজ্জেম হোসেন ইআরএফ ও অর্থনৈতিক সাংবাদিকতা নিয়ে কি ভাবতেন তার ওপরে একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ইআরএফের সাবেক সভাপতি জাকারিয়া কাজল।
আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, ২৫ বছর আগে অনেকটা জোর করে ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন। মাত্র ৫০ লাখ টাকা তাকে দেওয়া হয়েছিল, তাও দুই দফায়। শুরুতে আমাদের আগ্রহ ছিল না, কিন্তু তার পীড়াপীড়িতে আমরা রাজি হয়েছিলাম। বেহরুজ ইষ্পাহানি, মঞ্জুর এলাহীসহ আরও কয়েকজনের থেকে টাকা নিয়ে শুরু করা হয়। এখন প্রায় ৪০ জন শেয়ারহোল্ডার। বাংলাদেশে একটি পত্রিকা নিজেরা চলে, আবার শেয়ারহোল্ডারদের লাভ দিচ্ছে। এর দাবিদার মোয়াজ্জেম। এটা সম্ভব হয়েছে তার দায়িত্ববোধ, পেশাদারিত্ব, সততার কারণে। তিনি বলেন, মোয়াজ্জেম হোসেন ছিলেন সকল ভালো গুনের অধিকারী। বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই যুগে সৎ থাকা সত্যিই কঠিন কাজ। কিন্তু মোয়াজ্জেম হোসেন সততার সঙ্গে জীবন পার করে গেছেন।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, মোয়াজ্জেম হোসেন সকল অবস্থায় নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে প্রতিষ্ঠান দাড় করানোর কাজ করেছেন। তিনি দরিদ্র মানুষদের কিভাবে দারিদ্রমুক্ত করা যায় তার লেখনীর মাধ্যমে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন। অর্থ, কৃতি, স্বচ্ছলতা তাকে তাড়িত করেনি। তার ভেতরে মানুষের কল্যানের অন্যরকম তাড়না ছিল। স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন, ইআরএফের সদ্য এরশাদ মজুমদার, বদিউল আলম, কামরুল ইসলাম চৌধূরী, কাশেম হুমায়ন, সাজ্জাদুর রহমান, সাজ্জাদ আলম খান তপু, আশিকুন নবী চৌধূরী ও ফারুক আহমেদ। এছাড়া ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের রিপোর্টার মোফাজ্জল হোসেন ও আরাফাত আরা তার স্মৃতিচারন করেন। স্মরন সভায় কয়েকজন মোয়াজ্জেম হোসেনের নামে ইআরএফ অ্যাওয়ার্ড বা ফেলোশিপ চালু করার প্রস্তাব করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল। গত ১ আগষ্ট মোয়াজ্জেম হোসেন মৃত্যু বরণ করেন। গত ২৫ বছর ধরে তিনি ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এর আগে তিনি দেশের বিভিন্ন দৈনিকে কাজ করেছেন। সবমিলিয়ে সাংবাদিকতায় তিনি চার দশক পার করেছেন।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।