Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষার্থীদের অভিনব প্রতিবাদ ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ- সংবাদ সম্মেলনে রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০১ এএম

নিরাপদ সড়কের দাবিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সরকার শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে দমনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সরকার এখন ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ পেটুয়া বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করাচ্ছে। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগ অশুভ উদ্দেশ্য নিয়ে অবস্থান করছে। সরকার সুদীর্ঘ বাহু বিস্তৃত করে শিশু-কিশোরদের আন্দোলনকে দমানোর এক মহাপ্রস্তুতি গ্রহণ করে চলেছে। তারপরও ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন বেগবান। অত্যাচারী খড়গকৃপানকে ধুলোয় লুটিয়ে তারা বীরদর্পে এগিয়ে যাচ্ছে। শিশু-কিশোরদের এই অনবদ্য ভ‚মিকা ইতিহাসে এক সোনালী অধ্যায় হয়ে থাকবে। শিক্ষার্থীদের এই অভিনব প্রতিবাদ যেন অত্যাচারিত জনগণের অন্তঃরুদ্ধ ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। গতকাল (শনিবার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ওপর মিরপুর, ধানমন্ডি, যাত্রাবাড়িসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি জায়গায় হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। সাংবাদিকরা হামলার দৃশ্য ধারণ করতে গেলে সশস্ত্র হামলা করা হয়েছে তাদের ওপর। তিনি এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
সড়কে মৃত্যুর মিছিলের জন্য সড়ক ও সেতুমন্ত্রী এবং নৌমন্ত্রীকে দায়ী করে রিজভী বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে সড়কে নিহত হচ্ছে ২০ জন। গত সাড়ে তিন বছরে সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছে ২৫ হাজার মানুষ। আহত হয়েছেন ৬২ হাজার মানুষ। সড়কে দীর্ঘ মৃত্যুর-মিছিলের জন্য দায়ী সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং নৌমন্ত্রী শাজাহান খান ও সরকারের অনাচারমূলক নীতি। বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার নিরাপদের সড়কের জন্য কোন নীতিমালা তৈরি করতে পারেননি। আপনারা নিশ্চয় ভ‚লে যাননি নৌমন্ত্রী শাহজাহান খানের ঘোষণা, সড়ক দুর্ঘটনা রোধের জন্য বিভিন্ন সংগঠন যখন আন্দোলন করছিলেন তিনি তখন আন্দোলনকারীদের উপর লেলিয়ে দিয়েছিলেন তার পোষা শ্রমিকদের। তখন তিনি বলেছিলেন রাস্তায় গরু ছাগল চিনতে পারলেই তাঁেক লাইসেন্স দেওয়া হবে। সরকারও তাঁর দাবি মেনে নিয়ে শাজাহান খানের বাহিনীকে উৎসাহ দিয়েছিল। তাই গরু ছাগল বাচাঁতে গিয়ে আজ শিশু কিশোরসহ সব বয়সী মানুষদের বাসের চাকার নিচে ঠেলে দিয়েছে শাহজাহান খানরা।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দূর্নীতির দুষ্ট চক্রে গোটা দেশকে বন্দী করেছে এই ভোটারবিহীন সরকার। অদক্ষ ড্রাইভার, ত্রæটির্পণ গাড়ী, বেহাল সড়ক, ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, ত্রæটিপূর্ণ গাড়ীকে ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদান, এই সমস্ত অনাচারের জন্য দায়ী অবৈধ সরকার, সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং পরিবহন নেতা নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান। আর এই অব্যবস্থাপনার কারণেই পরিবহন সেক্টরে অরাজকতা চলছে। আর এজন্য কিশোর-কিশোরীদের সজীব প্রাণগুলি প্রতিনিয়ত বাসের চাপায় পিষ্ট হচ্ছে, আর মন্ত্রীরা হায়েনার হাসি হাসছেন।
রিজভী বলেন, মন্ত্রীদের নির্দেশে আজকেও দেশব্যাপী গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কষ্ট দেয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এই গণপরিবহন বন্ধ করেনি। মূলত: পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্যকারীদের হুকুমেই পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের চলমান ন্যায্য আন্দোলনকে জনদৃষ্টি থেকে ভিন্ন দিকে ফেরাতে শিক্ষার্থীদের ছদ্মাবরণে ছাত্রলীগ-যুবলীগ গাড়ী ভাংচুর, গাড়ীতে অগ্নিসংযোগ সবই করছে ছাত্রলীগ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ। ###



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ