Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শহরের তুলনায় কুটির শিল্পের সংখ্যা বেশি পল্লী অঞ্চলে

প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কর্পোরেট রিপোর্টার : বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সরকার পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক সেবাসমূহের কার্যকারিতা নির্ণয়ে মাঠপর্যায়ে জরিপ কাজ পরিচালনা করবে। এতে সহযোগিতা করবে ইউনিসেফ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাস্তবায়ন, পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনে জরিপ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানা হয়। জরিপ কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের তিনদিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিবিএসের উপ-মহাপরিচালক বায়তুল আমীন ভূঁইয়া, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এমএ মান্নান হাওলাদার ও সফিকুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক আবদুল ওয়াজেদ। ইফেকটিভ কভারেজ অব বেসিক স্যোসাল সার্ভিস (ইসিবিএসএস) নামে পরিচালিত এ জরিপের মাধ্যমে মাঠপর্যায় থেকে প্রাথমিক শিক্ষার অবস্থা, জন্ম নিবন্ধন, বাল্যবিবাহের তথ্য, স্যানিটেশন, হাত ধোয়ার অবস্থা, এইচআইভি/এইডস সম্পর্কে জ্ঞানের অবস্থা, মাতৃদুগ্ধ পান, ৬ মাস পর্যন্ত বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়ার অবস্থা, মাতৃত্বকালীন সুষম খাদ্য, মাতৃ মৃত্যুসহ বিভিন্ন সামাজিক সেবার তথ্য তুলে আনা হবে। রোববারের অনুষ্ঠানে জানানো হয়, স্বল্প শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর হাত ধরেই এগিয়ে যাচ্ছে দেশের কুটির শিল্প। কুটির শিল্প উদ্যোক্তাদের ৮৩ শতাংশেরই শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে এসএসসির নিচে। এসএসসি ও এইচএসসি উত্তীর্ণ কুটির শিল্প উদ্যোক্তাদের সংখ্যা ১৫ শতাংশ এবং ডিগ্রি পাস বা তার অধিক শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে এমন উদ্যোক্তার সংখ্যা মাত্র ২ শতাংশ। ১০ জনের কম জনবল রয়েছে সারা দেশে এমন সব কুটির শিল্পের ওপর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত এক জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বিবিএসের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা জানান, শিল্পনীতির ২০১০ আলোকে সারা দেশে মোট ১ হাজার ১৭১টি প্রাইমারি স্যাম্পল ইউনিটে (পিএসইউ) ১০ জনের কম জনবল বিশিষ্ট কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠানে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে ১৫১টি পিএসইউ ছিল পকেট টাইপ। অর্থাৎ এখানে একই জাতীয় পণ্য উৎপাদন বা সেবা কর্ম করা হয়। বিবিএসের জরিপ অনুযায়ী, দেশে মোট কুটির শিল্পের সংখ্যা ৮ লাখ ৩০ হাজার ৩০৬টি। এগুলোর মধ্যে নিবন্ধিত কুটির শিল্পের সংখ্যা মাত্র ৩৫ শতাংশ, অবশিষ্ট ৬৫ শতাংশ নিবন্ধিত নয়। শহরের তুলনায় পল্লী অঞ্চলে কুটির শিল্পের সংখ্যা বেশি। এসব কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠানের ৯৬ শতাংশই একক ব্যক্তিমালিকানাধীন এবং অবশিষ্ট ৪ শতাংশ অংশীদারত্বমূলক। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থান হয়েছে ২৯ লাখ ৬৩ হাজার মানুষের। এ খাতে শ্রমিকদের মাসিক গড় বেতন হচ্ছে ৩ হাজার ১৩০ টাকা। বিবিএসের জরিপে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ বিভাগে ক্ষুদ্র শিল্পের সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজার ১১২টি, যা সারা দেশের ৩০ শতাংশের বেশি। আর সিলেট বিভাগে ক্ষুদ্রও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা মাত্র ২৭ হাজার ৭৯১। এ বিভাগেই সবচেয়ে কম ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প। এ ছাড়া বরিশাল বিভাগে ৫১ হাজার ৪৭০টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৬৮টি, খুলনা বিভাগে ১ লাখ ২২ হাজার ৮৭টি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শহরের তুলনায় কুটির শিল্পের সংখ্যা বেশি পল্লী অঞ্চলে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ