পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আদিকাল থেকে বাঙালির পাত আলো করে রাখা মানেই রূপালী ইলিশ। সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় শ্রাবণের তৃতীয় সপ্তাহে এসে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ। চট্টগ্রামের আনোয়ারার উপক‚লে জমে উঠেছে রূপালী ইলিশের মেলা। উপক‚লজুড়ে জেলেদের মুখে প্রাপ্তির হাসি। ইলিশ ভাজার গন্ধ বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। জেলেদের ঘর থেকে উঁচু মহল পর্যন্ত এখন ইলিশের স্বাদে আচ্ছন্ন। তবে দাম চড়া হওয়ায় নিম্নআয়ের ক্রেতারা সেই স্বাদ পাচ্ছেন না। উপজেলা মৎস্য দপ্তরের দাবি, সরকারের পক্ষ থেকে মা ইলিশ ধরা বন্ধ ও জাটকা নিধনে কড়াকড়ির জন্য সাগরে বড় ইলিশ দেখা যাচ্ছে বেশি।
গত বুধবার গহিরা ফকিরহাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাহাত্তর ঘণ্টায় সাগর থেকে ইলিশ বোঝাই করে ঘাটে ফিরেছে কমপক্ষে ৫০টি ট্রলার। ফিরে আসা ইলিশ ভর্তি ট্রলার গহিরা উপক‚লের বিভিন্ন ঘাটে নোঙর করে সারিবদ্ধভাবে রাখা। মৌসুমের শুরুতে ইলিশের দেখা না পেলেও এখন কাক্সিক্ষত ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করায় হাসি ফুটেছে জেলে, আড়তদার ও মৎস্যজীবীদের মুখে। কেউ ইলিশ মাছের ঝুড়ি টানছেন। কেউ বরফ দিয়ে করছেন প্যাকেট। আবার কেউ কেউ সেই প্যাকেট বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে তুলে দিচ্ছেন ট্রাকে।
আনোয়ারা উপজেলা মৎস্য দপ্তর সূত্র জানায়, উপজেলার খুরুসকুল গোদারপাড় থেকে পারকি সৈকত পর্যন্ত প্রায় ২০টি ঘাটে তালিকাভুক্ত ৭৮৪টি মাছ ধরার নৌযান রয়েছে। এর বাইরেও অসংখ্য নৌকায় সাগর ও শঙ্খের মোহনা থেকে মাছ আহরণ করে জেলেরা। দীর্ঘ আট মাস জাটকা আহরণ বন্ধ থাকার পর জুলাইয়ের শুরু থেকে সাগরে মাছ ধরতে যান তারা। সে সময় তাদের জালে তেমন ধরা পড়েনি ইলিশ। তবে ভরা মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে এসে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ।
মাছ ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান জানান, এবারে অনেকটা ভালো সাইজের ইলিশ পাওয়া গেছে। ৩৫০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ পাইকারিতে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা এবং ৮০০ থেকে এক কেজি ওজনের বেশি হলে ৭০০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আনোয়ারা থেকে ইলিশ যাচ্ছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি ও আবদুল্লাহপুরে। তবে দাম চড়া থাকায় স্থানীয় বাজারে তেমন মিলছে না।
এফবি আল্লার দান নামক ট্রলারের মালিক মো. আজগর বলেন, মৌসুমের শুরুতে ইলিশ না মিললেও এবারে তার ট্রলারের মাঝিমাল্লারা পেয়েছেন দুই হাজার পাঁচশ ইলিশ। গড়ে একশ মাছ তের হাজার টাকা দামে বিক্রি করে পেয়েছেন তিন লাখ পঁচিশ হাজার টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে দুই লাখ টাকারও বেশি তার লাভ মিলেছে। আবহাওয়া ভালো হলে তারা আবার মাছ ধরতে সাগরে যাবেন।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈয়দ হুমায়ুন মোরশেদ ইনকিলাবকে জানান, জাটকা নিধন ও মা ইলিশ ধরা বন্ধে সফলতার কারণে সাগরে ইলিশ বেড়েছে। এছাড়া নদীর স্রোত বেড়ে যাওয়ায় সাগর থেকে শঙ্খের মোহনায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ আসছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।