পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থীর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর দ্রুত বিচার ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। যারা অপরাধ করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। আইনে এ-টু- জেড সব বিষয় যুক্ত আছে। আইন হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে।
গতকাল বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় নিহত দুই শিক্ষার্থীর আত্মার মাগফেরাত কামনা ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন যাবৎ (বছর খানেক) সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অনেক রকমভাবে এই সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে। তাই যে সব কারণে (রাস্তার কারণে, গাড়ীর কারণে, মানুষের চলাচলের কারণে, চালকের কারণে ইত্যাদি) সড়ক দুর্ঘটনা হতে পারে, সেগুলোর ব্যাপারে আইনে পর্যাপ্ত বিধান রাখা হয়েছে কিনা কিংবা দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সে রকম পর্যাপ্ত বিধান আইনের মধ্যে আছে কিনা এবং আইনে কোন ফাঁক-ফোঁকর আছে কিনা সেই সব পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে দেখে সড়ক পরিবহন আইনটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
তিনি মনে করেন, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ হবে অত্যন্ত আধুনিক। তার কারণ হচ্ছে এই আইনে অনেক বিষয় আছে যেগুলো আগের কোন আইনে এড্রেস হয়নি। তিনি বলেন, বিদেশে চালকের ভুলের কারণে যেমন পয়েন্ট কাটা যায় নতুন সড়ক পরিবহন আইনেও তেননি বিধান রাখা হয়েছে। এজন্য বার পয়েন্ট রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, কোন ড্রাইভার অপরাধ করলে তার পয়েন্ট কাটা যাবে। যদি কোন ড্রাইভারের বার পয়েন্ট কাটা যায় তা হলে সে আর কোন দিন ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেনা। কত পয়েন্ট কাটলে কি পরিমাণ শাস্তি হবে আইনে তা বলা আছে। তিনি বলেন, কেউ যাতে কম অপরাধে বেশি শাস্তি এবং বেশি অপরাধে কম শাস্তি না পায় সেগুলো সুনিশ্চিতভাবে আইনে সন্নিবেশ করা হয়েছে। ৩ পয়েন্ট কাটলে কী হবে- এরকম বিধানও করে দেওয়া হয়েছে। বিচারের তাৎক্ষণিকতা বা তড়িৎ বিচারের ব্যবস্থা এই আইনের মধ্যে করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আইনটা মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপিত হবে, প্রধানমন্ত্রী চান এটা তড়িৎ উপস্থাপিত হোক। সেইক্ষেত্রে আমার মনে হয় এই আইনটা যদি অনুমোদিত ও সংসদে পাস হয় তাহলে আমার ধারণা সব স্টেকহোল্ডার ন্যায়বিচার পাবেন। এখন কেউ যদি মনে করেন যে মানুষ মেরে তারা কম শাস্তি নিয়ে চলে যেতে পারবেন, এটা তো হয় না। আবার এটাও ঠিক একজনের ভুলের জন্য সবাইকে দায়ী করাও ঠিক না। যে ভুল করেছে তার বিচার করা উচিত। যে ভুল করেছে তার বিচার করা উচিত, কিন্তু স¤প্রদায়কে দায়ী করা ঠিক হবে না। সেগুলো বিচার-বিবেচনা করে আমার মনে হয় এই আইনটা যথপোযোগী এবং সবকিছু অত্যন্ত পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে দেখে আইনটি পাঠিয়েছি। আইনমন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে যে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে সেটা পর্যাপ্ত। রমিজ উদ্দিনের কলেজের হতভাগ্য ছাত্র-ছাত্রী নিহত হয়েছে, তাদের বিচার যেমন তড়িৎ হওয়া উচিত, সেই রকম সব দুর্ঘটনার বিচার তড়িৎ হওয়া উচিত। আর একটা জিনিস, যারা দোষী তাদেরই কেবল শাস্তি দেওয়া উচিত। পুরো স¤প্রদায়কে ভিক্টিমাইজ করা ঠিক হবেনা, যে এটা করেছে তাকে নিশ্চয়ই শাস্তি দেওয়া হবে।
বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের কথা দিতে পারি, যে মুহূর্তে তদন্ত শেষে এই মামলা আদালতে গড়াবে আমি প্রসিকিউশনকে বলে এটার তড়িৎ বিচারের ব্যবস্থা করবো। যারা অপরাধ করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। আইনে এ-টু- জেড সব বিষয় যুক্ত আছে। আইন হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।