Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

রঙ পাল্টাচ্ছে জাবালে নূর

নিবন্ধন বাতিল করেছে বিআরটিএ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০১ এএম

দেশের সবচেয়ে আলোচিত বাস কোম্পানীর নাম জাবালে নূর। এই কম্পানিটির বেপরোয়া বাস চাপা দিয়ে হত্যা করেছে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীকে। আরও কয়েকজন গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। গত চারদিন ধরেই এই ঘটনার বিচারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি রাগ জাবালে নূরের ওপর। গত চারদিন ধরে জাবালে নূর কোম্পানীর কোনো বাস রাস্তায় দেখা যায় নি। গতকাল বুধবার জাবালে নূর পরিবহনের নিবন্ধন বাতিল করেছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। এখন থেকে এই কোম্পানীর বাস আর রাস্তায় চলতে পারবে না। তবে এরই মধ্যে জাবালে নূর কোম্পানীর বাসের রং পাল্টানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, মিরপুর ১০ নং সেকশনে ইউসিবি ব্যাংকের পেছনে ফাঁকা স্থানে বেশ কয়েকটি জাবালে নূর বাসের রং পরিবর্তনের কাজ চলছে। ধারনা করা হচ্ছে, রঙ ও নাম পাল্টে খুব শিগগিরি আবার এ বাসগুলো রাস্তায় নামানো হবে। নতুন করে বাসগুলো রং করার একটি ছবি গত মঙ্গলবার থেকে সোশ্যল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। একটি বাসের রং পরিবর্তন করার ছবি পোস্ট করে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, “ গিরগিটির মতো রঙ বদলাতে প্রস্তুত। এরা আবার আসবে নতুন কোন নামে, নতুন করে প্রাণ নিতে।” মিরপুর এলাকার বাসিন্দারা জানান, তারা রাস্তার উপর রাখা বেশ কয়েকটি জাবালে নূর পরিবহনের বাসের রং পাল্টাতে দেখেছেন। স্থানীয়রা বলেছেন, দুর্ঘটনার পর থেকে রাস্তা থেকে উধাও। এরপর নতুন করে রং করা মানেই হলো নতুন নামে রাস্তায় নামার প্রাক-প্রস্তুতি। আরেকজন লিখেছেন, “ খুব পরিস্কারভাবেই বোঝা যাচ্ছে বাসের রং পরিবর্তনের কারণ। সেই ঘাতক বাসগুলোই রং বদলে আবার রাজপথে নামবে। ড্রাইভিং সিটে থাকবে সেই নেশাখোর চালকেরা। তারা আবারও হত্যা করবে সাধারণ মানুষকে। প্রতিবাদে রাস্তায় নামলে পুলিশের মার খেতে হবে। চালককে গ্রেফতার করলে পরিবহন শ্রমিকরা ‹ধর্মঘট› ডাকবে। সমস্যাটা আসলে কার? বাসের নাকি চালকের? বাসের রঙ বদলে লাভ হবে কি?”
ভুক্তভোগিরা জানান, জাবালে নূর পবিবহনের বাসগুলো সব সময় বেপরোয়া চলাচল করে। এর মালিক সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর আত্মীয় হওয়ায় বাসের চালক ও হেলপাররা বরাবরই বেপরোয়া। তারা পুলিশকেও তোয়াক্কা করে না। জাবালে নূরের সাথে আকিক পরিবহনের বাসগুলোও বেপরোয়া চলাচল করে। একই রুটে চলতে গিয়ে জাবালে নূর ও আকিক পরিবহনের বাসের মধ্যে প্রতিযোগিতা লেগেই থাকে। এ নিয়ে যাত্রীরাও থাকেন আতঙ্কে। কিন্তু কোনো বাসের চালকই তা কেয়ার করে না। ভুক্তভোগি একজন যাত্রী বলেন, জাবালে নূরের সাথে একই রুটের আকিক পরিবহনের বাসের চালকদেরকেও নিয়ন্ত্রণে আনা দরকার। তা ছাড়া যে কোনো সময় আবার ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।



 

Show all comments
  • Prîñçè Ñîshâñ ২ আগস্ট, ২০১৮, ২:৪৫ এএম says : 0
    নৌপরিবহন মন্ত্রির পদত্যাগ চাই ও নিরাপদ বাংলাদেশ চাই
    Total Reply(0) Reply
  • Sohel Chakma ২ আগস্ট, ২০১৮, ২:৫৮ এএম says : 0
    এই টাইপের বর্ব্বর, জগণ্য, নিষ্ঠুর ও নিকৃষ্ট চালকদের সরকারের আদালতে নয় জন সাধারণের আদালতে বিচার হওয়া উচিৎ। অতীতের বেপেরোয়া খুনি চালকদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্থি না হওয়ায় তারা বেপেরোয়া থেকে আরো বেপেরোয়া হয়ে উঠার সাহস বৃদ্ধি হয়েছে। এদের মৃত্যুদন্ডই একমাত্র উপযুক্ত শাস্থি।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Mito ২ আগস্ট, ২০১৮, ২:৫৯ এএম says : 0
    দুর্ভাগ্য, এদেশে একের পর এক মানুষ খুন করে চলা নেশাগ্রস্ত চালকদের পাশে দাঁড়ানোর মানুষ আছে; কিন্তু সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিআরটিএ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ