পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতিশ্রুতির বন্যা বইছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে। মেয়র থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী সবার মুখে উন্নয়নের ফুলঝুরি। নির্বাচিত হলে যেন নগরবাসী থাকবে দুধে ভাতে। এমন সব শতাধিক উন্নয়নের ফুলঝুরি নিয়ে চলছে দিনভর প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমার সময়ে নগরীর যে উন্নয়ন হয়েছে তেমনটি আর কেউ করতে পারেনি। মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল নতুন কোন উন্নয়ন করেনি। বরং তার সময় করা উন্নয়ন কর্মকান্গুডলো ধ্বংস করা হয়েছে। লিটন নির্বাচনী ইশতেহারে মোটা দাগে ৮১ দফা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন আমাকে ভোট দিন আমি আপনাদের উন্নয়ন দেব। পাঁচ বছরে ত্রিশ বছরের উন্নয়ন করব। রাজশাহী হবে মেগাসিটি।
পিছিয়ে নেই বিএনপির মো: মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। তিনি ১৮দফা ইশতেহারে রাজশাহীকে গ্রীন সিটি ক্লিন সিটি হেলদি সিটি তথা এডুকেশন সিটি গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছেন। যে কাজ তিনি শুরু করেছিলেন। তিনি বিপুল ভোটের নির্বাচিত হলেও রোষানলে পড়ে ৩৪ মাস চেয়ারে বসতে পারেননি। সরকারের বৈরী আচরণের কারণে উন্নয়ন বরাদ্দ পাননি। তিনি বলেন আধুনিক রাজশাহীর রুপকার বলে লিটন যে দাবি করছে তা সঠিক নয়। প্রকৃত আধুনিক রাজশাহীর রুপকার সতের বছরের মেয়রের পদে থাকা বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু।
মেয়র প্রার্থীদের এমন প্রতিশ্রুতির মাঝে বসে নেই কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। তারাও ওয়ার্ডবাসীকে শোনাচ্ছেন রাস্তাঘাট, আলো, পানি, দু:স্থভাতার কার্ডসহ নানা সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা। নতুন প্রার্থীরা পুরাতনদের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরছে। জবাবে পুরাতনরা বলছে সরকারি বরাদ্দ না থাকায় তারা কাঙ্খিত উন্নয়ন করতে পারেননি। বেশ কজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে রয়েছে মাদকের পৃষ্টপোষকতার অভিযোগ। তারাও বলছেন এবার নির্বাচিত হলে তারা এলাকাকে মাদকমুক্ত করবেন। ভোটের মাঠে সম্ভব-অসম্ভব সব রকম প্রতিশ্রতির বন্যা বইছে।
লিটনের গণসংযোগ :
আওয়ামী লীগ মনোনীত এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘২০১৩ সালের নির্বাচনে ভুল করে হোক বা আশা নিয়ে হোক মানুষ বিএনপির প্রার্থীকে মেয়র নির্বাচিত করেছিলো। কিন্তু তার ফল কী হলো, রাজশাহী পিছিয়ে গেলো। এবারের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন রাজশাহীবাসীর জন্যে অগ্নিপরীক্ষা। কারণ, সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে উন্নয়ন হবে না।’ গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর ১৬ নং ওয়ার্ডে এক নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির মেয়র বুলবুল গত ৫ বছর রাজশাহীর উন্নয়নের কথা না ভেবে সরকার পতনের আন্দোলনে ব্যস্ত ছিল। এবারো নির্বাচনী ইশতেহারে উন্নয়ন নয়, আছে আন্দোলনের হুমকি। নৌকায় ভোট দিলে উন্নয়ন হবে, কর্মসংস্থান হবে, ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে।
বুলবুলের সংবাদ সম্মেলন : নির্বাচনে ভোট গ্রহণের তিন দিন আগে থেকে সেনা মোতায়েনের দাবি জানালেন বিএনপির প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বুলবুল এ দাবি জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ২৯টি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। কিন্তু কমিশন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তারা পক্ষপাতিত্ব করছে বলেই মনে হচ্ছে।
বুলবুল বলেন, পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের কোনো মামলা বা পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেপ্তার করছে। এ পর্যন্ত আমাদের প্রায় ১৫০ জন নেতাকর্মী এবং পোলিং এজেন্টকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এবং তার প্রতিনিধিদের সাথে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। তাই জনগণকে তারা ভয় পায়। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু ও শাহজাহান মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।