Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

দুই জেলায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৪

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৮, ১২:০১ এএম

চট্টগ্রাম ও টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘণ্টায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চারজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামে র‌্যাবের সঙ্গে ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। নিহতরা মাদক ব্যবসা ও বিভিন্ন ১২ ওয়ারেন্টভুক্ত মামলার আসামি বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ১২০ কেজি গাঁজা, দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, ১টি চাকু ও গুলির খোসা উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ নিয়ে গত ৭২ ঘণ্টায় বিভিন্ন স্থানে বন্দুকযুদ্ধে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। আমাদের ব্যুরো প্রধান ও সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্য নিয়ে ডেস্ক রিপোর্ট :
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, নগরীর খুলশীতে র‌্যাবের সাথে কথিত বন্দুক যুদ্ধে আরও তিন যুবক হয়েছে। র‌্যাবের দাবি তারা মাদক ব্যবসায়ী। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) ভোরে খুলশী থানার রেলওয়ে ক্যান্টিন গেইট এলাকায় গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজনের মধ্যে দুজনের নাম জানাতে পেরেছে র‌্যাব। এরা হলেন ডালিম শেখ (২৯) ও মো. জাকির হোসেন (৩১)। র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এএসপি মিমতানুর রহমান জানান, ডালিমের বিরুদ্ধে ঢাকার যাত্রাবাড়ি ও কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানায় দুটি এবং জাকিরের বিরুদ্ধে ঢাকার ওয়ারী থানায় একটি মাদকের মামলা রয়েছে। তিনি বলেন, ভোরে একটি প্রাইভেট কার টাইগার পাসের দিকে যাওয়ার সময় রেলওয়ে ক্যান্টিন গেইট এলাকায় র‌্যাবের টহল দল থামার সংকেত দেয়। কিন্তু তারা না থেমে গাড়ি থেকে গুলি ছোঁড়ে। আত্মরক্ষার জন্য র‌্যাব সদস্যরাও তখন পাল্টা গুলি করে। পরে ওই গাড়ির ভেতরে তিনজনের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। ওই গাড়ি তল্লাশি করে ১২০ কেজি গাঁজা, দুটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং কিছু গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাইভেট কারটি নগরীর একে খান গেইট থেকে টাইগার পাসের দিকে আসছিল। র‌্যাবের ধারণা, নিহতরা গাঁজাগুলো অন্য কোথাও থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসছিল।
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নাজমুল হোসেন (৩৫) নামে ১২ মামলার আসামি নিহত হয়েছেন। গত বুধবার রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পুষ্টকামুরী চরপাড়া এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত নাজমুল উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের ভাগজান গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে।
মির্জাপুর থানার ওসি (তদন্ত) শ্যামল কুমার দত্ত জানান, বুধবার গভীর রাতে ১২ মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি নাজমুলকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে থানায় নিয়ে আসার পথে মহাসড়কের চরপাড়ায় পৌঁছালে নাজমুলের সহযোগীরা তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশের গাড়িতে থাকা নাজমুল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির একপর্যায়ে নাজমুল গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। তিনি আরও বলেন, ‘আহত অবস্থায় নাজমুলকে উদ্ধার করে কুমুদিনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। উন্নত চিকিৎসার জন্য নাজমুলকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গাজীপুরের শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত নাজমুলের নামে খুন, ডাকাতি, অস্ত্র , মাদক ও ছিনতাইসহ মির্জাপুর থানায় ১২টি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি ছুরি, ১টি চাকু ও গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্দুকযুদ্ধ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ