পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পাঁচ লাখ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এজন্য একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)। এটি বাস্তবায়িত হলে অগ্রিম রাজস্ব আদায়, উন্নত গ্রাহক সেবা দেয়া, নন-টেকনিক্যাল লস শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা, ডিমান্ড সাইড লোড নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা সহজতরকরণসহ বিদ্যুতের অপচয় রোধ হবে বলে আশা করছেন সংশি¬ষ্টরা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে ৪১৪ কোটি ৮২ লাখ ৬২ হাজার টাকা। ইতিমধ্যেই প্রক্রিয়াকরণ শেষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী সভায় এটি উপস্থাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে নেসকো।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে যেসব এলাকার গ্রাহকেরা প্রি-পেমেন্ট মিটার সিস্টেমের আওতায় আসবে সেগুলো হচ্ছে, রাজশাহী সিটি করপোরেশন এবং পবা, নাটোরের সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর, বগুড়া সদর, শাহজানপুর এবং কাহলু, পাবনা সদর, দিনাজপুর সদর, ঠাকুরগাঁও সদর, পঞ্চগড় সদর, নীলফামারী সদর এবং সৈয়দপুর সদর উপজেলা।
প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গিস পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে অনলাইনে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গ্রাহকরা বিদ্যুৎ বিল গ্রহণ ও পরিশোধ করতে সক্ষম হবেন। এতে গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নের পাশাপাশি যথাসময়ে শতভাগ বিদ্যুৎ বিল আদায় নিশ্চিত হবে। এছাড়া প্রকল্পটি সিস্টেম লস হ্রাসে সহায়ক হবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের আওতাধীন ১৬টি জেলার ৩৯টি উপজেলায় কাজ করছে। ৬টি পরিচালন ও সংরক্ষণ সার্কেল এবং ৫০টি বিতরণ বিভাগ ইউনিট দিয়ে নেসকোর কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বর্তমানে এ কোম্পানির আওতাধীন অঞ্চলে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা ৭৬৪ মেগাওয়াট। নেসকোর ১ হাজার ৫৩৫ এমভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন ৫৮টি ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের মাধ্যমে ১৩ লাখ ২০ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সেবা দেয়া হয়েছে।
বর্তমানে নেসকো গ্রাহক সেবার মান উন্নয়ন এবং সিস্টেম লস কমানোর জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এর অংশ হিসাবে স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর ফলে গ্রাহকরা সহজেই অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারবে। এছাড়া এর মাধ্যমে নেসকো এলাকায় সিস্টেম লস হ্রাস পাবে। প্রকল্পটি গ্রহণের আগে একটি সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়। এর আলোকে নেসকোর আওতাধীন ৫০টি বিতরণ বিভাগের সিস্টেম লসের মাত্রা বিবেচনা করে এই প্রকল্পটিতে ১৬টি বিভাগের আওতায় ৫ লাখ গ্রাহকের জন্য স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপনের জন্য নির্ধারন করা হয়। এ জন্য মোট ৪১৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১৮ সালের জুলাই হতে ২০২০ সালের জুনে নতুন বিনিয়োগ প্রকল্পটি প্রণয়ন করে অনুমোদন প্রক্রিয়াকরণের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
প্রকল্পটি নিয়ে গত ৪ জুন পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ বিভাগ মোট ২ কোটি ৫৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকা কমিয়ে মোট ৪১৪ কোটি ৮২ লাখ ৬২ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় বাস্তবায়নের জন্য পুনর্গঠিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পাঠিয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমগুলো হচ্ছে, ৪ লাখ ৬৭ হাজার ২০০টি সিঙ্গেল ফেজ অনলাইন প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন, ৩২ হাজার ৮০০টি থ্রি-ফেজ অনলাইন পেমেন্ট মিটার স্থাপন, ৩ হাজারটি ডাটা কনসেন্টেটর ইউনিট স্থাপন, একটি সেন্ট্রাল ডাটা সেন্টার স্থাপন এবং একটি মাস্টার ইনফরমেশন সেন্টার এবং একটি ডিজাস্টার রিকভারি সেন্টার স্থাপন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।