Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিআরটিএর অভিযান আমরা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক আলোচনা সভায় মওদুদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৮, ১২:২২ এএম

দেশে যদি সত্যিকারের জবাবদিহিম‚লক সরকার থাকতো তাহলে প্রত্যেকটা ইস্যুতে তারা পদত্যাগ করতে বাধ্য হতো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও জবাবদিহিতা থাকলে এই কয়লা ইস্যুতে সরকার পদত্যাগ করতো। অন্য কোনো দেশ হলে, অন্য কোনো গণতান্ত্রিক সভ্য দেশ হলে একদিনের জন্য আর টিকে থাকতে পারতো না। তারা নিজেরাই পদত্যাগ করে চলে যেতো। এখানে একটা নিলর্জ্জ, জবাবদিহিহীন সরকার আছে বলে, ভোট বিহীন একটা সরকার আছে বলেই আজকে তারা এটা করে পার পেয়ে যাচ্ছে।
গতকাল (বুধবার) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার প্রতিবাদে চেতনায় বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, হঠাৎ করে আবিস্কার হলো যে কয়লা চুরি হয়ে গেছে, কয়লা উদাও হয়ে গেছে, আকাশে মিশে গেছে। এর চাইতে বড় কেলেঙ্কারি আর কিছু হতে পারে না। আজকে এখানে একটা নিলর্জ্জ, জবাবহীন সরকার আছে বলে, ভোট বিহীন একটা সরকার আছে বলেই আজকে তারা এটা করে পার পেয়ে যাচ্ছে। কারণ তাদের সেই বিবেক বোধ, তাদের সেই ম‚ল্যবোধ, তাদের সেই মনের গিলটি- আমরা যে অপরাধ করেছি এই বোধ তাদের মধ্যে নাই। তারা ফেল করেছে।
তিনি বলেন, আমরা যারা বিরোধী দল করি তারা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। কারণ আইন আমাদের প্রতি সমানভাবে প্রয়োগ করা হয় না। আমি সমান অধিকার থেকে আজ বঞ্চিত। আর সরকারি দল যারা করেন তারা হচ্ছেন প্রথম শ্রেণির নাগরিক। আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর কুষ্টিয়ায় ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসী কর্তৃক হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে তার ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে। বুদ্ধিজীবী যারা আগে দাবি করতেন তারা শেষ হয়ে গেছেন। তারা বুদ্ধিজীবী বিক্রি করে দিয়েছেন, তারা এখন সেবাদাসে পরিণত হয়েছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মওদুদ আহমদ বলেন, নির্বাচন হবে বেগম খালেদা জিয়াকে সাথে নিয়ে এবং নির্বাচনের আগে তার মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। নির্দলীয় সরকার থাকতে হবে যাদের নির্বাচনের ফলাফলে তাদের কোনো স্বার্থ থাকবে না। সেনা মোতায়েন করতে হবে তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিতে হবে। আর নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। এদের দিয়ে দেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। খুলনা ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনে তারা এট প্রমাণ করেছে। আগামী তিনটি সিটি নির্বাচনেও সেটা প্রমাণিত হবে।
সংগঠনের সভাপতি শামীমা রহিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল আজিম, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, মুক্তিযোদ্ধা দলের আবুল হোসেন, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, কৃষক দলের শাহজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ