পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গানে কবিতা ছন্দে আর সু’ললিত কন্ঠের প্রচারনায় ভিন্নমাত্রা পেয়েছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন। মেয়র থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী সবাই বিভিন্নভাবে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষনে ব্যাস্ত। প্রচারনায় যোগ হয়েছে ডিজিটাল পদ্ধতি। দুপুর থেকে রাত আটটা পর্যন্ত মাইকযোগে প্রচারনার অনুমতি রয়েছে। এই ক’ঘন্টায় মাইকের শব্দে চারিদিক থাকছে মুখরিত। নগরীর রাজপথ থেকে গলিপথ সর্বত্র মাইকিংয়ের দাপট। অটোরিক্সার মাথায় মাইক বেধে প্রচার কর্মীরা ছুটছে। কেউ নিজেই ভোট চাইছে আবার কারো রেকর্ড করা ক্যাসেট বাজানো হচ্ছে। নারী পুরুষের যুগল কন্ঠে প্রার্থীর গুনগান করে কথা বার্তা রেকর্ড করা প্রচারনা চালানো হচ্ছে। বাদ্যযন্ত্রের সংমিশ্রনে গানে গানে প্রার্থীর গুনগান করে চলছে প্রচার প্রচারনা। এনিয়ে রীতিমত চলছে প্রতিযোগিতা। প্রচারনায় যেন ছায়াছন্দ এসেছে। কে কার চেয়ে ভাল ভাল ডায়লগ আর সুর দিয়ে প্রচারনা করে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষন করতে পারে তার প্রতিযোগিতা চলছে। মাইকের শব্দে নগরবাসীর কান ঝালাপালা। অলিগলিতে এক প্রার্থীর মাইক বের হতে না হতে আরেক প্রার্থীর মাইক যাচ্ছে। চলছে বিরামহীন প্রচারনা। যাদের উদ্যেশ্য করা এমন কান ঝালাপালা করা প্রচারনা তারা কার কথা শুনবে।
বিএনপি প্রার্থী বুলবুলের ইশতেহার:
বিএনপি পদপ্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তার ১৮ দফা নির্বাচনী ইসতেহার ঘোষনা করেছেন। তাতে বলা হয়েছে নির্বাচন কোন জুয়া, বাজি বা খেলা নয়। এলাকার মানুষের সমৃদ্ধি ও শান্তির সাথে সম্পর্কিত ব্যাপার। এক্ষত্রে ভুল হলে সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতি। খুলনা ও গাজীপুর মার্কা নির্বাচনে সঠিক গণরায় ও পছন্দের প্রতিনিধি পাওয়া সম্ভব নয়। দেশ একন একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এক দলীয় স্বৈরশাসনের যাঁতাকলে জনজীবন আজ নিস্পেষিত। রাজশাহীবাসি এহেন অবস্থার বাইরে নয়। মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশে শ্বাস নেয়ার জন্য সকলে উদগ্রীব হয়ে আছে। এই প্রতিকুল অবস্থায় মহানগরবাসীর বিভিন্ন সমস্যার উন্নয়ন ও প্রত্যাশা পূরণের অঙ্গীকার এবং বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের গণতন্ত্র নস্যাতের নীল-নকশাকে প্রতিহত ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলনের অংশ হিসাবে আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তিনি অংশ নিয়েছেন। ইসতেহারে উল্লেখ যোগ্য হলো:
রাজশাহী মহানগরবাসীর করের বোঝা লাঘব ও সহজসাধ্য করার জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরলীকরণ প্রক্রিয়ায় নূন্যতম কর নির্দ্ধারণ, পুনরায় গ্যাস সংযোগ করার জন্য প্রচেষ্টা, নাগরিকদের মৌলিক অধিকার যেমন চিকিৎসা, বাসস্থান, ইতোপূর্বে গৃহীত প্রকল্পের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে যথাযথ উন্নয়ন, স্বল্প আয়ের গৃহহীন জনগোষ্ঠির জন্য গৃহীত গৃহ নির্মাণ প্রকল্প চালু রাখা হবে, রাজশাহী শিক্ষা নগরী হিসেবে পরিচিত। কিন্তু শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত উন্নতমানের স্কুল-কলেজ নেই। সরকারী স্কুল ও কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়াও সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়ন ও তত্ত্বাবধানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি কলেজ ও স্কুল স্থাপন করা হবে, চাকুরিরক্ষেত্রে চলমান কোটা আন্দোলনকে সহযোগিতা করা, একটি আধুনিক নগরীর উপযোগী রাস্তাঘাট তৈরী, ড্রেনেজ-ব্যবস্থা, পয়:নিস্কাশন ব্যবস্থা, সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা, শহরের যানজট নিরসনকল্পে ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ট্রাফিক-কর্মী বাহিনী গড়ে তোলা, রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক ফুটবল, ক্রিকেট, হকিসহ অন্যান্য টুর্ণামেন্ট এর ভেন্যু স্থাপনের লক্ষে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।
সর্বোপরি জনগণের ভোটের অধিকার, গণতন্ত্র, ন্যায় বিচার এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
সমালোচনায় আওয়ামীলীগের সাংবাদিক সম্মেলন
রাজশাহী সিটি নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের নির্বচানি ইশতেহারের সমালোচনা করেছে আওয়ামী লীগ। গতকাল দুপুরে রাজশাহীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বুলবুলের ইশতেহারের কড়া সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেন।তিনি বলেন, ‘বুলবুলের ইশতেহারে উন্নয়নের কোনো রূপরেখা নেই। মানুষের চাওয়া-পাওয়ার কোনো প্রতিফলন নেই। তিনি ইশতেহারেই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন। মেয়র হওয়ার পর তিনি সরকারবিরোধী আন্দোলন করে বেড়ালে উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন কখন?’ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল তার ১৮ দফা ইশতেহারের শেষ দফায় বলেছেন, জনগণের ভোটের অধিকার, গণতন্ত্র, ন্যায় বিচার এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এছাড়া কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সমর্থন দিয়ে বুলবুল বলেছেন, তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে কোটা প্রথা সংস্কার করে মেধাবীদের চাকরির নিয়োগ প্রাপ্তিতে পূর্ণ সহযোগীতা করা হবে। মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের ইশতেহার ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তিনি সরকারবিরোধী নানা বক্তব্য দেন।
এদিকে গতকালও আওয়ামীলীগ প্রার্থী লিটন বিএনপি প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গনসংযোগ করেন। গংসংহতি প্রার্থী মুরাদ মোর্শেদের প্রচারণা মিছিল আলুপস্ক্রি মোড় থেকে জোনায়েদ সাকীর নেতৃত্বে বের হয়। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সফিকুল ইসলামও গণসংযোগ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।