দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
প্রশ্ন : জুমার দিন দোয়া কবুলের সময় কোনটি ?
উত্তর ঃ জুমার দিনে দোয়া কবুল হওয়ার সে মহামূল্যবান সময় কোনটি? এ সম্পর্কে ৪৫টা মতামত পাওয়া যায়। তবে সর্বাধিক প্রসিদ্ধ মত হলো, আসরের নামাজের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময় দোয়া কবুলের সময়। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে এ কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেন, হে দুনিয়ার মানুষ শোন! তাজেদার মদিনা সরকারে দোআলম (সা.) বলেছেন, ‘জুমার দিনের কাঙ্খিত সময়টা হলো আসরের পর থেকে সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত। (ইবনে আবি শাইবা : ৫৪৬০ , তিরমিজি : ৪৮৯)।
তাহিয়্যাতুল অজু ২ রাকয়াত, দুখুলুল মসজিদ ২ রাকয়াতসহ জামাতের সাথে ইমামের পেছনে সাওয়াবের আশায় আমরা জুম্মার ২ রাকয়াত ফরজ নামাজ আদায় করব।
আর জুম্মার ফরসের আগে পরে ৪ রাকয়াত করে ও আদায় করব। হযরত ইবনে মাসউদ (রা:) জুম্মার আগে ৪ রাকয়াত পরে ৪ রাকয়াত নামাজ আদায় করতেন।( তাহাবী -১৯৬৫, ইবনে আবি শায়বা ৪র্থ খন্ড- ৫৪০২)।
আসুন! আমরা সবাই সঠিক নিয়মে সুন্দরভাবে সালাতুল জুম্মা আদায় করি। আল্লাহর কাছে আমাদের সকল প্রয়োজন, কৃত গোনাহের ক্ষমা চাই। তিনি যেন প্রাণের নবিজী তাজেদার মদিনা (সা.) এর উসিলায় আমাদের দোয়াগুলো কবুল করেন এবং আমাদেরকে ও বিশ্বের সকল মুমিন মুসলমানদের দয়া করুন।
উত্তর দিচ্ছেনঃ মুফতি মাওলানা মুহাম্মাদ এহসানুল হক মুজাদ্দেদি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।