পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য একটি লিনিয়ার এক্সিলারেটর মেশিন কেনা হবে। এ জন্য গত বছরের জুন মাসে টেন্ডার আহবান করা হয়। শর্ত পূরণ করে দুটি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সমমানের মেশিন প্রায় ৪ কোটি ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা বেশি দিয়ে কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। একটি অসাধু চক্র ইলেক্ট্রা এবি সুইডেন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগসাজশ করে বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতে এই পায়তারা করছে বলে ক্রয় কমিটি সূত্রে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একটি লিনিয়ার এক্সিলারেটর মেশিন কিনতে টেন্ডার আহবান করে বিএসএমএমইউ। টেন্ডার মূল্যায়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে অসন্তোষ ও জটিলতার সৃষ্টি হয়। ক্রয় সংক্রান্ত সচ্ছতা আনয়নে এবং জটিলতা নিরসনে তৎকালীন ভিসি প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান খান ২০১৭ সালের জুলাই মাসে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। তদন্ত কমিটি পূর্বের টেন্ডার পক্রিয়া বাতিল করে নতুন করে টেন্ডার আহবান করার সুপারিশ করে। সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর পুনরায় টেন্ডার আহবান করা হয়।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক টেন্ডার সংক্রান্ত কারিগরি উপ-কমিটির একজন সদস্য বলেন, এতো কিছুর পরেও সময়ক্ষেপণ ছাড়া কিছুই হয়নি। এখনো বেশি দামে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে তৎপর ক্রয় কমিটি। তিনি বলেন, মেশিন কেনা হবে রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের জন্য। কিন্তু উপ-কমিটির সভাপতি এবং সদস্য সচিব দুজনেই মেডিকেল অনকোলজি বিভাগের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত কারীগরী উপ-কমিটির তিনটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বেশি দামে ওই নির্দিষ্ট কোম্পানির মেশিন কিনতে সকল সদস্যদের চাপ প্রয়োগ করা হয়। সভায় যে সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন না, একটি দাফতরিক পত্র তৈরি করে তাদের পাঠানো হয়। একজন সদস্য এই পত্র প্রত্যাখ্যান করেন। এমনকি দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী অংশগ্রহণকারী সকল কোম্পানির মেশিন সরেজমিন পরিদর্শনের কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু তিনটি সভা অনুষ্ঠিত হলেও এখনো কমিটির পক্ষ থেকে কোন পরিদর্শনে যাওয়া হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রয় কমিটির প্রধান প্রো-ভিসি (শিক্ষা) প্রফেসর ডা. সাহানা আখতার রহমান বলেন, বিষয়টি এখনও প্রক্রিয়াধীন। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই লিনিয়ার এক্সিলারেটর মেশিন ক্রয় করা হবে। অতিরিক্ত ৪ কোটির বেশি টাকা দিয়ে মেশিন ক্রয় সম্পর্কে ডা. সাহানা আখতার রহমান বলেন, আগে আমাদের চাহিদা পূরণ হতে হবে, তারপর দাম। আমরা চাচ্ছি অত্যান্ত নিখুত ভাবে স্বচ্ছতার সঙ্গে একটি মেশিন কিনতে। রোগীদের চিকিৎসায় সব সুবিধা নিশ্চিত হয় এমন মেশিন আগে যাচাই করা হবে, তরপর দামের বিষয়ে ভাবা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেন, ক্রয় কমিটি এখনো তাকে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। এখনও বিভিন্ন কমিটি মেশিন ক্রয় নিয়ে পর্যালোচনা করছে। সব কাজ সম্পন্ন করে তার কাছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেয়ার কথা। প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত লিনিয়ার এক্সিলারেটর মেশিন ক্রয়ের বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না। তবে বেশি দামে ক্রয়ের তথ্যটি যাচাই-বাছাই করেই অনুমতি দেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।