পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিন এমপির বিরুদ্ধে আচারণবিধি লংঘনের অভিযোগ উঠেছে। বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে গতকাল শনিবার বিকেলে রিটানিং অফিসারের কাছে লিখিতভাবে এ অভিযোগ দেয়া হয়। বুলবুলের নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট ও জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জাল হোসেন তপু রিটানিং অফিসারের কাছে অভিযোগটি দাখিল করেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারা ও নাটোর-২ সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় এসে নৌকা প্রতীকের পক্ষে গণসংযোগ ও ভোট প্রার্থনা করেন। এতে সিটি করপোরেশনের নিয়ম অনুযায়ী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন। এছাড়াও কোন গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়া ছয়জনকে নেতাকর্মীকে গ্রেফতার ও ভয়ভীতি দেখানোসহ আরও সাতটি অভিযোগ করা হয়েছে মেয়র প্রার্থী বুলবুলের পক্ষ থেকে। সেই সাথে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করার লক্ষে দ্রæত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করার দাবি জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাইনুল ইসলাম, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা শিবলী, রাজপাড়া থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম আপেল, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ওয়ায়েস করনী ডায়মন্ড, ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইফতিয়ার মাহমুদ বাবু ও ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী গোলাপ। রিটানিং অফিসার আমিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ তদন্ত করা হবে। সত্যতা পাওয়া গেলে সংসদ সদস্যদের সতর্ক করাসহ বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিটনের গণসংযোগ
আওয়ামী লীগ মনোনীত, মহাজোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী, সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণার শুরুর দিন থেকেই প্রচারের পাশাপাশি আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, বিষেদগার, নির্বাচনে কমিশনে লিখিত অথবা মৌখিক অভিযোগ দায়ের করে আসছে। মিডিয়া বা গোলটেবিল বৈঠক সবখানে মনের মাধুরী মিশিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা। বিএনপির যিনি প্রার্থী, সে সর্বদিক দিয়ে ব্যর্থ। ভোটারদের সামনে যাওয়ার মুখ নাই। সেজন্য নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য অথবা প্রশ্নবিদ্ধ করা অথবা নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য, এইরকম নানাবিধ চিন্তা মাথায় রেখেই এ সমস্ত কথা বলছে। গতকাল শনিবার নগরীর ২০নং ওয়ার্ডে গণসংযোগের সময় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব বলেন।
খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রেখেছি। ভবিষ্যতেও শান্তিপূর্ণ থাকবে, রাখা হবে। তবে কেউ যদি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অশান্ত করার অপচেষ্টা করে, তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রতিহত করবে। এরপর সুলতানাবাদ, কাশেমীরা মাদরাাসা, নতুনপাড়া, মুনসি ডাংগা, বোয়ালিয়া পাড়া এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চান তিনি।
গণসংযোগের সময় মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আসলাম সরকারসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে নগরীর নিউ মার্কেট এলাকার বিভিন্ন মোবাইল দোকানসহ অন্যান্য দোকানগুলোতে গিয়ে স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক নৌকার মার্কায় ভোট চান। শিরোইল কাঁচাবাজার এলাকা থেকে গণসংযোগ শুরু করে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর সন্ধ্যা পর্যন্ত শিরোইল বাস স্ট্যান্ড, মহলদারপাড়া, বিহারীপাড়া ও খুলিপাড়া এলাকায় গণসংযোগ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।