পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা নিয়ে কোন ঝামেলা নেই। তবে হাট ইজারার কাক্সিক্ষত মূল্য না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গত বছর একটি পশুর হাটের কোন ইজারাও হয়নি। তবে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, ইজারা মূল্য কমেনি বরং কাক্সিক্ষত মূল্যের চেয়ে কোন কোন হাটে বেশি মূল্য পাওয়া যাচ্ছে।
কোরবানির ঈদ উপলক্ষে মহানগরীতে ছয়টি অস্থায়ী পশুর হাট বসে। এগুলো হল- বহদ্দার হাট এক কিলোমিটার থেকে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর উত্তর প্রান্ত পর্যন্ত কর্ণফুলী পশুর হাট। সল্টগোলা রেলক্রসিং সংলগ্ন পশুর হাট, স্টীল মিল পশুর বাজার, পতেঙ্গা সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও কমল মহাজন হাট। এছাড়া নগরীর পোস্তার পাড়ে একটি ছাগলের হাটও ইজারা দেয় সিটি কর্পোরেশন।
জানা যায়, প্রতি বছর ইজারা মূল্য বাড়ছে। তবে যেহারে পশুর মূল্য বেড়েছে এবং সেই সাথে কোরবানি পশুর বিক্রি বেড়েছে সে হারে ইজারা মূল্য বাড়ছে না। অথচ কোরবানি দেন তাদের কাছ থেকে উচ্চহারে হাসিল আদায় করা হয়। গত কয়েক বছরে কোরবানির পশুর দাম অনেক বেড়েছে। পশুর মূল্যবৃদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হাসিলের হারও। সে তুলনায় ইজারা মূল্য বৃদ্ধি না পাওয়ায় সিটি কর্পোরেশন রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
কয়েকজন ইজারাদার ঘুরে ফিরে একই পশুর হাট ইজারা নিচ্ছেন। ঠিকাদারদের অভিযোগ, প্রভাবশালী ইজারাদারদের কারণে অনেকে এসব হাট ইজারা নেয়ার সাহস পায় না। তবে সিটি কর্পোরেশনের পশুর হাট ইজারা নিয়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি গত কয়েক বছর ধরে। গত বছর কমল মহাজন হাটের কোন ইজারা হয়নি। ২০১৬ সালে ওই হাটটি ৫১ হাজার টাকায় ইজারা দেয়া হয়। কিন্তু তার আগের বছরও এ হাট ইজারা হয়নি।
সিটি কর্পোরেশনের হিসাবে, ছয়টি পশুর হাটের ইজারা মূল্য বাড়ছে। ২০১৭ সালে ছয় হাটের ইজারা মূল্য পাওয়া যায় তিন কোটি ৯০ লাখ ৪৯ হাজার ৮৮৬ টাকা। আর ২০১৫ সালে ইজারা মূল্য ছিল দুই কোটি ৭৫ লাখ ২১ হাজার ৬০৯ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে ইজারা মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে এক কোটি ১৫ লাখ ২৮ হাজার ২৭৭ টাকা হয়।
২০১৬ সালে ছয়টি হাটের ইজারা মূল্য ছিল তিন কোটি ৮৩ লাখ ৮৮ হাজার ১৮৬ টাকা। সবচেয়ে বড় কর্ণফুলী পশুর হাটে ২০১৫ সালে ইজারা মূল্য ছিল এক কোটি ৬১ লাখ ২১ হাজার ৫০০ টাকা। ২০১৬ সালে বেড়ে দাঁড়ায় এক কোটি ৯৬ লাখ টাকায়। গত বছর এই হাটের ইজারা মূল্য ছিল দুই কোটি ১৮ লাখ টাকা। স্টীল মিল বাজারের ইজারা মূল্য ২০১৫ সালে ছিল ৬০ লাখ ৫১ হাজার টাকা। ২০১৬ সালে ৯১ লাখ ৫১ হাজার টাকা। কিন্তু গত বছর মূল্য সামান্য বেড়ে দাঁড়ায় ৯২ লাখ এক হাজার টাকা।
সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের ইজারা মূল্য তেমন বাড়েনি। ২০১৬ সালে ৩৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা ইজারা মূল্য সামান্য বেড়ে ২০১৭ সালে ৩৩ লাখ ৮১ হাজার টাকায় দাঁড়ায়। পোস্তার পাড় স্কুল মাঠের অস্থায়ী ছাগলের বাজারের ইজারা মূল্যও তেমন বাড়েনি। ২০১৬ সালে ইজারা মূল্য ছিল ১৮ লাখ এক হাজার ৭৮৬ টাকা। গত বছর তা চার হাজার টাকা বেড়ে ১৮ লাখ পাঁচ হাজার ৭৮৬ টাকা হয়।
চলতি বছর সিটি কর্পোরেশন ছয়টি হাটের ইজারা প্রক্রিয়া শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার দরপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে ছয় হাটের জন্য বিপুল সংখ্যক দরপত্র পাওয়া যায়। সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার ইজারার মূল্য অনেক বেড়েছে।
তিনি বলেন, এবার সবকটি হাটের জন্য ইজারাদাররা দরপত্র দাখিল করেছেন। তবে একটি হাটের ইজারা মূল্য কম হওয়ায় নতুন করে দরপত্র বিক্রি ও জমা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের পশুর হাটের ইজারা মূল্য প্রতি বছর বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বৃদ্ধির হার কাক্সিক্ষত এবং স্বাভাবিক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।