পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেছেন, নির্বাচন কমিশনকে নিশ্চয়তা দিতে হবে আমার (বুলবুল) ১৪’শ পোলিং এজেন্টরা নিজ বাড়ি থেকে অনায়াসে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবে। যদি পোলিং এজেন্টদের অন্য বাড়ি থেকে যেতে হয় তাহলে নির্বাচন সঠিক হবে না। গতকাল সকালে রাজশাহী চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কনফারেন্স রুমে রাসিক কেমন নির্বাচন চাই- গোলটেবিল বৈঠকে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, আমি গত ১২-১৩ দিনের সাধারণ মানুষের যতটুকু কাছে গেছি। নতুন ও বয়স্ক বা বৃদ্ধ ভোটার অনেকেই বলেছেন, আমরা নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবো কিনা ? তাদের মধ্যে নিরাপত্তার সংশয় রয়েছে। রাজশাহীতে নির্বাচন কমিশন এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরাও পোস্টার লাগানোর জায়গা পাচ্ছে না।
বিএনপির প্রার্থী বলেন, আমার মা গতকাল পর্যন্ত বলছে, ‘বাবা তুই এই নির্বাচনে বসে যা, কারন তুই জিততে পারবি না। কেউ নাকি জিতে আছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠ হওয়ার কোন পরিবেশ এখন পর্যন্ত নাই। নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণার পরে আমার কর্মীদের নামে সাতটা মামলা হয়েছে। ওসিদের টেলিফোন করলে বলে উপরের নির্দেশ। উপর ওয়ালা কে? কেউ বলতে পারেনা। আমরাতো বুঝি। গত রাতে আমার তিনজন কর্মীকে ধরে নেওয়া হয়েছে।
’আজ সিটি করপোরেশনের কর্মীদের জোর করে একজন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করানো হচ্ছে। আমরা যেটা করছি সেটা নাটক। আমাদের বানর খেলা ও হকারের মতো আট টাকার ওষুধ দুই টাকায় পাবেন এই অবস্থা হয়েছে। আর নির্বাচন কমিশন তবলা ও ঢোল বাজানোর মতো। আমরা এই নির্বাচন চাই না বলে জানান তিনি।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল আবেগ ও ক্ষোভ থেকে অনেক কিছু বলছেন। কখনো বলছেন, এ নির্বাচন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের নির্বাচন; কখনো বলছেন, সরকারের চেহারা উন্মোচনের নির্বাচন। আবার এটাও বলছেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না।’ আমি জোর দিয়ে বলছি, আমাদের পক্ষ থেকে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হোক বা কোন অনিয়ম হোক; এমন কোন কাজ আমরা করতে দেব না। আমাদের কর্মীদেরকে ইতোমধ্যেই কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে, অতি উৎসাহী হয়ে কারও কিছু করার দরকার নেই; যাতে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হয়। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সামনে আমার ছোট ভাই মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সঙ্গে কথা বলে নিয়েছি। অতি উৎসাহী কর্মীরা যে দলেরই হোক আমারা যেন তাদের নিবৃত্ত করি। লিটন আরও বলেন, আটকের বিষয়ে আমার কোন করণীয় নেয়। নির্বাচনের সময় পুলিশ সন্দেহভাজনদের তালিকা তৈরি করে তাদের আটক করে থাকে এটি পুলিশের বিষয়।
লিটনের গণসংযোগ
আওয়ামী লীগ মনোনীত ও মহাজোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী, সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে ভোট চেয়ে মহানগরীর ১৪ নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিবারের সদস্য, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছেলে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম। ৩৮টি গাড়ি বহর নিয়ে রাজশাহীতে আসেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এ নেতা। গত বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় নগরীর তেরখাদিয়া থেকে গণসংযোগ শুরু করেন আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে। এরপর নগরীর তেরখাদিয়া পশ্চিমপাড়া, নতুন বিলশিমলা, তেরখাদিয়া কাঁচাবাজার ও ডাবতলা এলাকায় গণসংযোগ করেন তারা। রাজশাহীর উন্নয়নে লিটনকে ভোট দিতে রাজশাহীবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় ব্যাপক প্রচারনা চালায়। মসজিদে মসজিদের সামনে বিতরণ করা হয় প্রচারপত্র। বিকেলে মহিলারা বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনা মিছিল করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।