পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশাল সিটি নির্বাচনের দশ দিন বাকি থাকলেও প্রার্থী আর তাদের কর্মী-সমর্থকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন ভোটের প্রচারণায়। নির্বাচনকে সামনে রেখে নগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও আটোসাটো করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় এসে ঢাকার যুব লীগের এক নেতা খোদ পুলিশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে যেভাবে ঝামেলায় জডড়িয়ে পরেছেন, তাতে নিরাপত্তা নিয়ে আইন-শৃংখলা বাহিনীকে কিছুটা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
নগরীর ১২৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে প্রায় ৮০ভাগই কম-বেশী ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করে ঐসব কেন্দ্রে কিছুটা বাড়তি ফোর্স মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি ঐসব কেন্দ্রগুলোর আসেপাশে পুলিশসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর স্ট্রাকিং ফোর্সকেও বিশেষ নজরদারীর দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। এসব পরিকল্পনা নিয়ে দু একদিনের মধ্যেই কাজ শুরু করবে বরিশাল মহানগর পুলিশ। এদিকে গতকালও মহাজোট প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ সকাল থেকে রাত অবধি নানামুখী গনসংযোগসহ প্রচারণায় ছিলেন। সকালে তিনি বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এলাকা সহ সনিন্নহিত কয়েকটি এলাকায় গনসংসংযোগ করেন। দুপুরে-বিকেল ও রাতে তিনি নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকায় নির্বচনী সভাসহ গণসংযোগে ব্যস্ত ছিলেন। নগরীর প্রতিটি পাড়া মহল্লায় মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে ব্যাপক মাইকিং চলছে। বাড়ি বাড়ি গিয়েও ভোটারদের সাথে দেখা করে ভোট চাইছেন মহাজোটের সমর্থকরা।
এদিকে ২০দলীয় জোট প্রার্থী মুজিবুর রহমান সারোয়ার গতকাল পরিচ্ছন্ন ও জনবান্ধব মহানগরী গড়ার প্রত্যয় নিয়ে ৩০ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। এছাড়া বিপুল সমর্থক ও কর্মী নিয়ে নগরীর বাঁধ রোড, চাঁদমারীসহ বেশ কিছু এলাকায় গণসংযোগ করেছেন তিনি। জোট প্রার্থীর পক্ষে বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও মির্জা অব্বাস এবং সেলিমা রহমান ও যুব দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হেসেন আলাল গতকালও নগরীর একাধিক এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। এসব সভায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আগামী ৩০জুলাই বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন কতটুকু গ্রহনযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশও করছেন। এমনকি এখনকার নির্বাচনে আর উৎসবের আমেজ নেই বলে অভিযোগ করে তা আতঙ্কের বিষয়ে পরিনত হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন নেতৃবৃন্দ। এর পরেও বরিশালবাশী নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে ধানের শীষকেই বেছে নেবে বলে দাবি করেছেন নেতৃবৃন্দ। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ গতকাল নগরীর টাউন হল প্রাঙ্গন সহ আরো দুটি স্থানে পথসভা করে মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনা চালান। আাজ সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান ২০দলীয় জোট প্রার্থীও পক্ষে প্রচারনায় বরিশালে আসছেন।
এদিকে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মওলানা ওবাইদুর রহমান মাহবুব ও জাতীয় পার্টি প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসও নগরীতে ব্যাপক গণসংযোগসহ প্রাচারণায় রয়েছেন। জাতীয় পার্টিও প্রার্থী ইকবার ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের কথা ও কাজে পার্থক্য থাকার অভিযোগ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।