পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকারদের হাতে নির্যাতিত আরও ৩৮ জন বীরাঙ্গনার নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৫৪তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে স¤প্রতি গেজেট জারি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। নীলফামারীর জলঢাকার মোছা. শাহেলা বেগম, ঠাকুরগাঁও সদরের মোছা. আমেনা বেওয়া এবং লালমনিরহাট সদরের শেফালী রানী, মোছা. রেজিয়া মোছা. মোসলেহা বেগম এবং শ্রীমতি জ্ঞানো বালা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন। চট্টগ্রামের পটিয়ার আছিয়া বেগম, ফেনীর ছাগলনাইয়ার রহিমা বেগম এবং কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আফিয়া খাতুন খঞ্জনীকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। জয়পুরহাট সদরের মোসা. জাহানারা বেগম, নওগাঁ সাপাহারের মৃত পান বিলাসী, নাটোর বড়াইগ্রামের মোছা. হনুফা এবং সিরাজগঞ্জের তাড়াশের অর্চনা সিংহ ও মৃত পচি বেওয়া মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার মোছা. ওজিফা খাতুন, দয়ারানী পরামানিক ও মোছা. রাবেয়া খাতুন, কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মাছুদা খাতুন মোছা. মোমেনা খাতুন ও মোছা. এলেজান নেছা; কুষ্টিয়া সদরের মৃত রাজিয়া বেগম এবং বাগেরহাটের রামপালের মোসা. ফরিদা বেগমের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মিলেছে। শেরপুরের নালিতাবাড়ীর মোছা. মহিরন বেওয়া, মোছা. আকিরন নেছা, মোছা. জতিরন বেওয়া, মোছা. হোসনে আরা, মোছা. হাজেরা বেগম (পিতা মৃত উমেদ আলী) ও হাজেরা বেগম (পিতা মৃত হাসেন আলী) এবং শেরপুরের ঝিনাইগাতীর মৃত ফিরোজা খাতুনকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। শরীয়তপুর সদরের জুগল বালা পোদ্দার, যোগমায়া ও সুমিত্রা মালো গোপালগঞ্জ সদরের হেলেনা বেগম ও ফরিদা বেগম এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জের মোসা. আনোয়ারা বেগমের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মিলেছে। এছাড়া ঝালকাঠি সদরের সীমা বেগম ও মোসা. আলেয়া বেগম এবং হবিগঞ্জের মাধবপুরের সন্ধ্যা ঘোষকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এনিয়ে ২৩১ জন বীরঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন। মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া বীরাঙ্গনারা প্রতি মাসে ভাতাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের মত অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আগেই জানিয়েছেন, ৪০০ থেকে ৫০০ জন বীরঙ্গনাদের তালিকা নিয়ে কাজ করছেন তারা, পর্যায়ক্রমে সবাইকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হবে। ১৯৭১ সালে ডিসেম্বরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্যাতিত নারীদের বীরাঙ্গনা স্বীকৃতি দিয়ে তাদের সম্মান জানান। তার নির্দেশনায় বীরাঙ্গনাদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়, যা ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের আগ পর্যন্ত চলছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এই প্রক্রিয়াটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সামরিক শাসকদের মাধ্যমে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে পাকিস্তানি জাস্তার সহযোগীদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরই মধ্যে এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনাও আসে। শেষ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চার দশক পর ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। পরের বছরের ২৯ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে ওই প্রস্তাব পাস হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।